২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • চট্টগ্রাম >> জাতীয় >> সাহিত্য
  • রাজনীতির অতি কথন অতঃপর
  • রাজনীতির অতি কথন অতঃপর

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    কবি ও কলামিস্ট : শাহাদাত হোসেন তালুকদার >>>অতি কথনের মশুল গুনছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, দু’টি বৃহৎ দল বা গোষ্ঠী এর জন্য বিশেষভাবে দায়ী,শিষ্ঠাচার বহির্ভুত অপ্রয়োজন অসংলগ্ন ও লাগামহীন কথাবার্তা কিংবা আচরন বর্তমান নেতা মন্ত্রী বা উর্ধতনদের হীন স্বভাব ইদানিং প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করছে দেশের সাধারণ জনগণ।বাঁচ বিচার বজায় না রেখে হাস্য তামাশা কিংবা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কখনো কৃতিত্ব অর্জন হয়না এবং কথার শানে অকথা কুকথায় সঠিক অর্থে কোন মানুষের যোগ্যতা ও পাণ্ডিত্য প্রতিষ্ঠা পায় না।আমাদের মনে রাখা উচিৎ সংসদ মিটিং মিছিল কিংবা জনসভায় ভাষন আর মিডিয়ার কাছে বলা সবকথাই এই আধুনিক যুগে প্রযুক্তিবন্দি অটোমেটিক রেকর্ড হয়।যেসব বিষয়ে শিক্ষণীয় আকর্ষণ থাকতে পারতো বর্তমান রাজনীতিতে বলতে গেলে তার সবই অনুপস্থিত,যোগ্যতার তকমা স্বরূপ দেশের ভেতরে বাইরে বিদেশি কোন সাদা চামড়ার মানুষ দেখলেই সাংবাদিক মহল মনে করেন বিদেশিরা এদেশের প্রভুত্ব নিয়ে বসে আছেন ,ওদের দেখলেই সংবাদ কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায় তাদের প্রতি অহেতুক ছুঁড়ে দেন অপ্রাসঙ্গিক নানা ধরনের প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা,যেই কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হিরো আলমরা সৃষ্টি হয়,আর মনে হয় যেন বিদেশিরা বাংলাদেশের রাজনীতির পথ প্রদর্শক কিংবা রাজনৈতিক গুরু।কোন কোন বিদেশি বা কুটনৈতিক পর্যায়ের লোকদের নিকট সাংবাদ কর্মীদের জিজ্ঞাসায় তাদের অনিহা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মিডিয়ার জিজ্ঞাসার জবাবের শিষ্টাচার নিয়ম ও ভদ্রতার খাতিরে কিছু একটা মন্তব্য দিতেই হয় বিধায় বিদেশিদের দেওয়া সচারাচর ভাষ্যকে সাংবাদিক ভাইয়েরা এটম বোমার মত সাজিয়ে গুছিয়ে পত্র পত্রিকায় প্রকাশ করে হৈচৈ বাধাতে তিল থেকে তালে রূপ দিতে থাকেন,সাক্ষ্য প্রমাণসহ দলীয় নেতাদের বিদেশীদের কথার চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করতে দেখা যায় বাংলাদেশের রাজনীতির দলীয় নেতা বা উপরস্থ মহলের,বর্তমান যুগে মিডিয়া লোকেরা নেতাদের অমূলক মুখরোচক কথাবার্তায় এক প্রকার অদূরদর্শিতা নিয়ে চিন্তায় ভোগেন দেশের সচেতন মহল।এই পরিস্থিতির জন্য দেশের জনগণ আপাতত রীতিমতো অতিষ্ট,অসংযত কথাবার্তা বা আচরণ নেতাদের উপরে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক সিঁড়ি হতে পারে না,এই ভুমিকায় অবতীর্ণ দু’টি গোষ্ঠীই হচ্ছে আমার প্রাণের প্রিয় পরিবার প্রথমত রাজনৈতিক নেতা বা দল আর দ্বিতীয়ত সাংবাদিক।অথচ আগামীর রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ইতিহাসের জন্যে রাজনীতিটা প্রজন্মের জন্য সবসময়ের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারতো।বঙ্গবন্ধুর মত ঐতিহাসিক নেতা আমাদের আর নাও লাগতে পারে,কারণ ৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের সুযোগে সব দলই নানা কৌশলে ক্ষমতায় বসার চেষ্টায় ছিলেন,ক্ষমতায় যাওয়ার পর নেতৃত্বের সিঁড়ি বেয়ে প্রত্যেকে বিত্তশালী ও সম্পদের মালিক হয়েছেন একথা কেহ অস্বীকার করলেও দেশের আপামর জনগণ তা মানতে রাজি না,কারন ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তাদের মাঝে দেশপ্রেমের অনুপস্থিতি টুকু আমরা বরাবরই লক্ষ্য করে আসছি আজ পর্যন্ত,কেননা ক্ষমতারোহীদের লক্ষ্য থাকে অর্থ বিত্ত নিজ স্বার্থের মাঝে সীমাবদ্ধ।আমার জীবনে একজন সাধারন আওয়ামী কর্মী হয়ে স্মরণযোগ্য একটি নির্বসচন ভোগ করেছিলাম আওয়ামী রাজনীতিক কর্মী জীবনে,যাহা আমি আজো উপভোগ করি।২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার অতি নগন্য কর্মী বাহিনীর অবদানের সিঁড়ি বেয়ে এই পনের বছরে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যার সরকার দেশের সার্বিক উন্নতি অগ্রগতি ও সুন্দর অর্থনীতি উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন যাহা আর কোন দল বা স্বৈরাচার শাসক ক্ষমতা আরোহন কারীর পক্ষে কখনো সক্ষম হননি।২০০৮ সাল থেকে এই পনেরো বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশাল অর্থনীতি যোগ হয়ে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অভাবনীয় উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের জনগনের জন্য ইহা বিশাল অর্জন বলে মনে করা যায়।হয়তো আমরা বুঝতে চাইনা আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা ও ভাষন গুলো কি তাঁহার কণ্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনারা আমাদের থেকে কি কম শোনেন কিংবা কম বুঝেন,বঙ্গবন্ধু এই সমস্ত সত্য সঠিক সৎ ও ঈমানি মনোভাব পোষণ করতেন বলেই দেশের ঘুষখোর সুদখোর ও কালো টাকার বিরুদ্ধে কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন বলেই হয়তে বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট কলংকময় কালোরাত দেখেছেন।এই দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ভালোবাসা ও অভিভাবকত্ব ছিলো অপরিসীম,দেশের গরীব দুখী মেহনতি মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীতেও বঙ্গবন্ধুর মুখে সবসময় সুষম বন্টন ও জনগণের ন্যায্য পাওনার কথা শুনেছি,এবং সামগ্রিক অর্থে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল চিন্তায় বঙ্গবন্ধুকে সর্বদাই আন্তরিক হতে দেখেছি।অবৈধ ও অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের প্রতি বঙ্গবন্ধুর নানা ধরনের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মূলক ভুমিকা রাখতে গিয়ে তার প্রতিটি ভাষনে সুদ ও ঘুষখোরদের প্রতি চরম ঘৃণার কথা তাহার প্রতিটি ভাষনে অনর্গল উচ্চারিত হতে দেখেছি।কিন্তু ১৯৭৫ এ বয়াল ১৫ আগষ্টের কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অতি সুকৌশলে এদেশকে পরিচালনা করতে হয়েছে,দেখেও না দেখার ভান ধরতে হয়েছে কোনও ক্ষেত্রে, এই সমস্ত বাস্তবতা আমরা অনেক জনগণ অনুভব ও উপলব্ধি করতে সক্ষম হই, আরো উপলব্ধির বিষয় যে সৎ চিন্তা ও উচিৎ কথা বলার জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র চার বছরের মাথায় নিষ্টুর ও নির্মম একটি ১৫ ই আগষ্ট দেখেছে বিশ্ব,তাই সৎ সততা ও সদিচ্ছা এবং সত্যকে অন্তরে জাগ্রত রাখা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর মত করে দেশের সার্থে পরিস্কার ভাবে কিছু বলা সবসময়ের জন্য সহজ ব্যাপার না,আমরা কেহ বলতে চাইলেও তখন চোখে ভাসে সেই বয়াল ১৫ ই আগষ্টের কথা,ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত আমরাও আশ্বস্ত হতে চাই এই দেশ থেকে কোন একদিন অনিয়ম ঘুষ দূর্নীতির বাজার দূরীয়ে যাবে ও মুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ, মূলত অনিয়ম ঘুষ দূর্নীতির কবল থেকে মুক্তির ইচ্ছায় হাসিনা সরকারকে দেশের মানুষ আরও সময় দিতে চান বা বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে পছন্দ করেন এবং ভালো বাসেন।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page