নিজেস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে নৌকার বিজয়ের কোন বিকল্প নেই উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকের নিয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দল মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীকে আবারও বিজয়ী করতে রাজশাহীর মানুষ। বিপুল ভোটে বিজয় করবে।২১শে ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) বিকালে নগরীর বিনোদনপুর বাজার থেকে কাজলা গেট পর্যন্ত গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ঘন্টাব্যাপী চলা এই গণসংযোগে স্থানীয় এলাকার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ছাত্র জীবন থেকেই আমি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছি। রাজশাহীর মানুষ সবসময় আমাকে রাজনৈতিক ভাবে সমর্থন করেছে। ২০০৮ সালে এই শহরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে যে গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিল; তা আমি সততার সঙ্গে পালনের চেষ্টা করেছি। এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে এর আগে সংসদে গিয়ে আমার থেকে বেশি কেউ কথা বলেনি। আমি আমার দলের বা নিজের কথা যতটা না বলেছি; তার চেয়ে বেশি বলেছি রাজশাহীর মানুষের কথা। তারই ফলশ্রুতিতে আজকের রাজশাহী। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীবাসীর সঙ্গে আছেন। আমরাও আছি। মনে রাখতে হবে, রাজশাহীর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে এখানে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।আবারও নির্বাচিত হলে রাজশাহীকে সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত করার আশ্বাস দিয়ে বর্ষিয়ান এই রাজনীতিক বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে কাগজে কলমের শিক্ষানগরীকে প্রকৃত শিক্ষানগরীতে পরিণত করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ বিষয়ে আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। রাজশাহীর সঙ্গে ঢাকার বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের সহযোগিতায় এটি চালু করেছি। এখন আমরা অনেকেই স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে খুব অল্প সময়েই বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছে যেতে পারি। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম শিল্প ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। সেটিকেও রক্ষা করে ফের রাজশাহীর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। সরকারের সুদৃষ্টি থাকলে আগামীতে রেশম শিল্প হয়তো আলাদাভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। রাজশাহীর সঙ্গে রেলপথের উন্নয়ন হয়েছে। সড়কপথের উন্নয়ন হয়েছে। এমন অনেক অর্জনের কথা বলা যাবে যার কারণে পুরোপুরিভাবে রাজশাহী নগরী ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।গণসংযোগকালে এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য