বান্দরবান প্রতিনিধি >>> বান্দরবান সদর উপজেলার দীর্ঘদিন যাবত একই চলাচলের রাস্তা সাধারণ জনগণ চলাফেরা করার জন্য খোলা ছিল সাধারণ জনগণ চলাফেরা করতো এবং একটি পুকুর রয়েছে যা অত্র এলাকার সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে গেইট নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা ও পার্শ্ববর্তী পুকুরের পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, উপজেলা সদর সংলগ্ন এলাকায় একটি গেইট বসিয়ে জনসাধারণের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাশের একটি পুকুর, যেটি স্থানীয় জনগণ বহু বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে, সেটি ঘিরে ফেলে পানি ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।প্রতিবাদে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, “আমাদের চলার পথ কেটে নেওয়া হয়েছে। পানি সংগ্রহের একমাত্র উৎস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের উচিত জনগণের দিকটি আগে বিবেচনা করা।বিক্ষোভ চলাকালে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ অংশ নেয়।সাধারণ জনগণের দাবি চলাচলের পথ খুলে দিতে হবে।পুকুরের পানি ব্যবহারের সুযোগ ফিরিয়ে দিতে হবে।প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।ঘণ্টাব্যাপী চলা এ ঘেরাও কর্মসূচির সময় উপজেলা ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।পরে বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। তিনি পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেন।স্থানীয় সমাজকর্মী ও সচেতন মহল এ ঘটনায় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা কামনা করেন। তারা বলেন, “জনস্বার্থ রক্ষা করেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। জনগণকে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ আত্মঘাতী।
মন্তব্য