৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
ইউপি চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার যোগসাজশে WFP প্রজেক্টে সীমাহীন দুর্নীতি বিশেষ সমস্যা গ্রস্থ ব্যক্তিকে ইসলামও দিয়েছে আলাদা সম্মান ও মর্যাদা মদনে জেলা প্রশাসকের মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নূর ফরাজী মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজশাহীর বানেশ্বরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ফটিকছড়িতে বালুবাহী ট্রলি গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু সাংবাদিক মিরনের হামলাকারীদের চিহ্নিত করা ও গ্রেফতারের দাবীতে পটুয়াখালীতে সাংবাদিকদের মানব বন্ধন কর্মসূচী। ভারত ৫০শতাংশ রপ্তানী শুল্ক বৃদ্ধি করায় এবার পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানী করেছে বাংলাদেশ পুঠিয়া সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণ করায় মহিলা লীগের নেত্রী মৌসুমী আটক পূর্ব রাজানগর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> কুড়িগ্রাম >> জাতীয় >> দেশজুড়ে >> রংপুর >> রাজনীতি >> শীর্ষ সংবাদ >> সিলেব্রিটি
  • প্রধানমন্ত্রী হলে যেভাবে উন্নয়ন করেবেন:জামায়াতে আমীর
  • প্রধানমন্ত্রী হলে যেভাবে উন্নয়ন করেবেন:জামায়াতে আমীর

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন
    মিজানুর স্টাফ রিপোর্টার

    দীর্ঘ প্রায় ২ দশক পরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে জেলা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষাধিক কর্মী সমর্থকের উপস্থিতিতে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম জেলা সরকারি কলেজ মাঠে সকাল ৯টায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন,আল্লাহ যদি আপনাদের ভালোবাসায় স্নিগ্ধহয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেন, প্রেসিডেন্ট,প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখে এলাকার উন্নয়ন হবে না। জনগণের ন্যায্য প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত সুষম উন্নয়ন হবে ইনশাআল্লাহ। সম্পদ যা আল্লাহ দিবেন তার সৎ ব্যবহার হবে সততা ইনসাফের ভিত্তিতে। যে এলাকাগুলো এগিয়ে গিয়েছে সে এলাকাগুলো একদিকে আনা হবে,যে এলাকাগুলো পিছিয়ে রয়েছে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সামনে নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ। ন্যায়ের পথে ইনসাফের পথে আমাদের যতদিন পাবেন আমাদেরকে একটু ভালোবাসবেন,দোয়া করবেন,সাহায্য করবেন।ভূল করলে সমালোচনা করবেন,সত্যের পথে দেশ গড়ার পথে আপনারা পাশে থাকবেন।আপনাদের বুকের বিচানায় আমাদের একটু জায়গা দিবেন,পারবেন তো ইনশাআল্লাহ এই দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন।

    তিনি আরো বলেন “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পৈশাচিক ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ হত্যার রাজনীতি শুরু করে এ কারণে এক এগারোর মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিন সরকার আসে। পরবর্তীতে এক আগারও সরকার একটি দলের কাছে তাদের নিরাপদ প্রস্থানের প্রস্তাব দিলে অন্যরা তা মেনে না নিলেও আওয়ামী লীগ সেটার সুযোগ লুফে নেয়। এক এগারোর সরকারের কাছে তাদের সকল কাজের বৈধতা দিতে রাজি হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে তারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা তাদের আসল রূপে আবির্ভূত হয় । ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি তারা সরকার গঠন করার পরের মাসেই ২৫ এবং ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ জন সাহসী, অভিজ্ঞ ও চৌকস সেনা অফিসার কে হত্যার মাধ্যমে তারা হত্যার রাজনীতি শুরু করে। তিনি আরো বলেন, তারা এরপর জামায়াতকে টার্গেট করে শত্রু হিসেবে একে একে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কোরআনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা, মীর কাশেম আলী সহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার মাধ্যমে তারা এদেশে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রাখে। এই প্লাটফর্ম তৈরি করতে শাহবাগীদের উপস্থিত করা হয়”। তিনি আরো বলেন তাদের হত্যাযজ্ঞ কে জামাতের ঘাড়ে চাপিয়ে দোষ দিয়ে জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদেরকে গণহারে গ্রেপ্তার নির্যাতন-নিপীড়ন নিষ্পেষণ করা হয়েছে কিন্তু আসলেও সেগুলোর সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক ছিল না সেটাও প্রমাণ হয়েছে। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটন হত্যার বিষয় প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বলেছিল তাদের ক্ষমতায় না থাকলে তাদের পাঁচ লক্ষ নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করা হবে কিন্তু সেটি হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা যারাই করেছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ সকল স্তরের সাধারণ মানুষকেও তারা টার্গেট করেছে শত্রু হিসেবে। তারা ১৮ কোটি মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে।আমীরে জামায়াত আরো বলেন, উন্নয়নের নামে দেশের সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। উনারা চলে যাওয়ার আগেই দেশের সকল সম্পদ পাঠিয়ে দিয়েছে। একে একে দেশের সমস্ত সম্পদ লুটপাট করেছে, সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ ২৬ লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন দেশকে দেশের মানুষকে এগিয়ে নিতে হলে পেছনে একটা পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে একথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেন। তিনি বলেন জনতার ঐক্য যেন সীসাঢালা প্রাচীরের মতো হয়। তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিডিআর জোয়ান সহ আপনারা স্থানীয়রা রাতের অন্ধকারে ওদের হামলার বিপরীতে ওদেরকে যে শিক্ষা দিয়েছেন তার প্রতিশোধ হিসেবে ওরা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ২৪ ঘন অভ্যুত্থানের নায়ক আবু সাঈদের কথা উল্লেখ কর তিনি বলেন, ২৪ এর সিপাহসালার, মহানায়ক এর বাড়িও আপনাদের এলাকায় রংপুরে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত তাদের আত্মার মাগফেরাত ও আহত পঙ্গুত্ব বরণ কারীদের প্রতি সাহায্য সহযোগিতা ও সহানুভূতি মূলক কর্মকান্ড করার আহ্বান জানান এবং তাদের সেই দেখানো পথে চলার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেন। এর বিপরীতে যেন কেউ কাজ না করে সেই সতর্কবার্তাও প্রদান করেন আমীরে জামায়াত সতর্ক করে আরো বলেন, আপনারা যদি কেউ চাঁদাবাজি করেন ঘুষ বাণিজ্য করেন মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেন তাহলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে এমন কার্য কেউ করবেন না। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন আমাদের অনুরোধ এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে আপনারা বিরত থাকবেন দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের মনকে নরম করেন আপনারা বুঝতে পারেন কিন্তু তারপরেও যদি আপনাদের এই অপকর্ম অব্যাহত রাখেন তাহলে আমাদের লড়াই ও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।জেলা জামায়াতের এই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অমুসলিম সমর্থকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি উদয় শংকর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ৭-৮ পার্সেন্ট হিন্দু শুধু নয় এদেশ বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, মুসলমান সকলের বাংলাদেশ। অন্যান্য ধর্মালম্বীরা আপনাদের কাছে আমানত আপনারা এই আমানতের দায়িত্ব পালন করবেন। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর যারা আমাদের দুর্গাপূজার সহ বিভিন্ন উৎসবে নিরাপত্তা বিধানে পাশে ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী, সমর্থকরা যারা আমার সামনে আছেন। আমরা চাই, আপনারা আমাদেরকে আমানত হিসেবে সকল দায়িত্ব পালন করবেন।উক্ত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মজলিসের সুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page