১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • পেকুয়ায় অসহায়ের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
  • পেকুয়ায় অসহায়ের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ দিদারুল ইসলাম. পেকুয়া প্রতিনিধি >>> কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের বোর্ডিং পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে এক অসহায় দিনমজুরের বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।বুধবার (৩০এপ্রিল) গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখায় বাড়িটির অর্ধেক ভষ্মিভুত হয়। তবে আগুনের সুত্রপাত নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে। অনেকে মন্তব্য করেছেন পুর্ব শত্রুতার জেরে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়েছে।সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানান, ওইদিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বোর্ডিং পাড়ায় আশরাফ হোসেন এর বাড়িতে আগুনের সুত্রপাত হয়। আশরাফ হোসেনের স্ত্রী শিরু আক্তার জানান, আমরা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। এসময় ঘরের ছালার পলিথিন থেকে আগুনের কুন্ডলী নিচের দিকে ছুটে আসে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা চিৎকার করি। এসময় এলাকাবাসীরা এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা যায়নি। এর একদিন আগে আমার স্বামীকে লবণ মাঠে কাজ করার সময় প্রতিবেশী আজবাহার বেগম ওরফে বুলুর স্বজনরা ধরে ব্যাপক মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় পেকুয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আজবাহার বাদি হয়ে একটি মামলা রুজু করেছিল। এ মামলায় পুলিশ স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরের দিন রাতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় আজবাহার বেগম।সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ বলেন, তাঁরা সবাই আমার নিকটাত্মীয়। আজবাহার আমার আপন ভাতিজি। কিন্তু তাঁর এসব অন্যায় আমরা সহ্য করতে পারছিনা। আশরাফকে জেলে পাঠিয়ে তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারার অংশ হিসেবে এটি অবশ্যই পরিকল্পিত আগুনের ঘটনা।ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ বলেন, আমরা হতবাক হয়েছিআজবাহারের আচরণে। যারা আগুন নেভাতে গিয়েছে তাদের হাকাবকা করেছে আজবাহার বেগম। একদিকে আশরাফকে জেলে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে মাথাগুঁজার একমাত্র ঠাঁই বসতবাড়িও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোর্ডিং পাড়া, সাতঘর পাড়া ও পশ্চিম মগঘোনা নিয়ে গঠিত সমাজ পরিচালনা কমিটি নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছি। এ ঘটনায় আমরা বিষ্মিত হয়েছি। দুর্বলের উপর অত্যাচারকারীকে আমরা চিহ্নিত করে তাঁর বিরুদ্ধে ঐক্যমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ আছে। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page