৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
অসহায় নারীকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা রিনি মানবিক সহায়তা পিরোজপুর-২ আসনে নেছারাবাদ থেকে বিএনপি প্রার্থী চেয়ে হাতে ব্যানার নিয়ে নারীদের মিছিল বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন সহযোগিতার অঙ্গীকার ৩ বিজিবির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি অবৈধ কাঠ আটক শোক সংবাদ। তানোরে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারেজ এলাকা দেখা মিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নে সমাজসেবায় কাজ করতে চান মোঃ শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে বিএনপির এমপি প্রার্থী সহ গুলিবিদ্ধ ২ একজন আশঙ্কা জনক সাতকানিয়ায় এস এস সি ও আলীম কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদযাপন
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> চট্টগ্রাম >> চট্টগ্রাম >> দেশজুড়ে
  • আওয়ামী নেতার সুপারিশে আসা প্রকৌশলী সাতকানিয়ায় এখনো বহাল
  • আওয়ামী নেতার সুপারিশে আসা প্রকৌশলী সাতকানিয়ায় এখনো বহাল

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন
    নিজস্ব প্রতিবেদক >>> বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রশাসনের বিশাল রদবদল হলেও  গত বছরের ৯ এপ্রিল যোগদান করা উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে এখনো বহাল তবিয়তে।সাতকানিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) চিত্র ভিন্ন। তিনি সাতকানিয়ায় এ পদে এসেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা,কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার আশীর্বাদে—এবং ক্ষমতার পালাবদলের পরও সেই আশীর্বাদের প্রভাবে আজও টিকে আছে এ প্রকৌশলী।
    বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, একই সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কিছু কর্মকর্তার তালিকা ছিল। সেই তালিকায় সবুজ কুমার দে’র নামও ছিল। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন, সবুজ কুমার দে সাতকানিয়ায় আসেন “বিপ্লব বড়ুয়ারই বিশেষ সুপারিশে”।
    জানা যায় সবুজ কুমার দে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলজিইডির প্রকল্প বণ্টন, টেন্ডার অনুমোদন এবং মাঠপর্যায়ের কাজের ধরনে পরিবর্তন আসে। তবে স্থানীয় ঠিকাদার একাংশের অভিযোগ—আগে যেখানে বিভিন্ন ইউনিয়নের ঠিকাদাররা প্রতিযোগিতা মূলকভাবে কাজ পেতো,এখন কাজ পেতে হলে “প্রকৌশলীর ঘনিষ্ঠতা” অপরিহার্য হয়ে উঠে।
     নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন  ঠিকাদার জানান,সাতকানিয়ায় যে কয়টা বড় প্রকল্প আছে, সবই নির্দিষ্ট দলের লোকই পাচ্ছে। আগে তিন–চারজন ইউনিয়ন পর্যায়ের ঠিকাদার কাজ পেতেন, এখন অফিসের ‘চেনাজানা’ না হলে টেন্ডারই জমা দিতে পারি না এমন অভিযোগ করেন তিনি।
    ২০২৪ সাল ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর,ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন। এদিন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রশাসনের বহু কর্মকর্তা তদন্তের মুখে পড়েন, কেউ বদলি হন, কেউ সাময়িক বরখাস্ত। কিন্তু সাতকানিয়া এলজিইডির অফিসে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সবুজ কুমার দে এখনো আগের মতোই অফিস পরিচালনা করছেন। স্থানীয়দের ভাষায়, বিপ্লব বড়ুয়া চলে গেছেন, কিন্তু তার ছায়া এখনো অফিসে ঘোরাফেরা করছে।
    সাতকানিয়া এলজিইডি অফিসের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত মোট ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কাজ পেয়েছেন নির্দিষ্ট তাঁর পছন্দের  ঠিকাদার ।
    উপজেলার একজন ঠিকাদার জানান, নতুন প্রশাসন আসার পর ভেবেছিলাম এবার টেন্ডার প্রক্রিয়া বদলাবে। কিন্তু এখনো আগের মতোই চলছে—যাদের সঙ্গে প্রকৌশলীর সম্পর্ক ভালো, তারাই কাজ পাচ্ছেন। এদিকে মাঠপর্যায়ের তদন্তে দেখা গেছে, কয়েকটি প্রকল্পে কাজের গুণগত মান প্রশ্নবিদ্ধ।
    উপজেলার একজন স্থানীয় শিক্ষক জানান, উনি রাজনীতির প্রভাবে এসেছিলেন—এটা অধিকাংশ সবাই জানে। সরকার বদলে গেলেও, কিন্তু উনি থেকে গেছেন। এটা বুঝে উঠতে পারছি না, কার প্রভাবে তিনি এখন সাতকানিয়ায় বহাল আছেন।
    স্থানীয় সচেতন মহল জানান, সবুজ কুমার দে সেই কাঠামোরই অংশ। যেভাবে বিপ্লব বড়ুয়ার প্রভাবে তিনি পদে এসেছিলেন, এখন হয়তো নতুন শক্তির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন।
    আবার কেউ কেউ মনে করেন, দেশে কিছু কর্মকর্তা এমন এক নেটওয়ার্ক গড়ে ফেলেছেন, যা রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঊর্ধ্বে। হয়তো সেই প্রভাবেই তিনি এখনো টিকে রয়েছেন।
    স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী বলেন, বিপ্লব বড়ুয়া চলে গেছেন, কিন্তু তার প্রশাসনিক উত্তরাধিকার এখনো সক্রিয়। সাতকানিয়া অফিসে সেটা দেখলেই বোঝা যায় এখনো আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট রাই রাষ্ট্র চালাচ্ছে ।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page