নাহিদুজ্জামান শিবগঞ্জ উপজেলা নিজস্ব প্রতিবেদক >>> শিবগঞ্জ উপজেলার থেকে ভোলাহাট উপজেলা গিয়ে জিয়াউল হক এর হাতে বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ন এ বইটি উপহার দেওয়া হয় এতে জিয়াউল হক বলেন আমি অনেক খুশি হয়েছি এরকম বই আমি এর আগে কোথাও উপহার পাইনি। বইটা পেয়ে আমি অনেক ধন্য হয়েছি ।বই কেনার টাকা না থাকায় ক্রির পা দিতে পারেননি স্কুলে জীবনের নানান গল্প শোনালেন তিনি।জিয়াউল হক জানান, ১৯৫৫ সালে তিনি পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে চান। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ দোহন করে জীবিকা নির্বাহ করা তাঁর বাবা বই কেনার টাকা দিতে পারেননি। সে কারণে তাঁর আর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া হয়ে ওঠেনি। এর পর বাবার সংগ্রহ করা দুধ দিয়ে দই তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি শুরু করেন। কয়েক বছর পর তাঁর হাতে কিছু টাকা জমা হয়।এ সময় জিয়াউল হক ভাবেন, তাঁর মতো যারা টাকার অভাবে বই কিনতে না পেরে বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়তে পারে, তাদের তিনি বই কিনে দেবেন। আর এতেই তাঁর বিদ্যালয়ে পড়তে না পারার বেদনা লাঘব হবে। সেই ভাবনা থেকে গরিব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিলি শুরু করেন জিয়াউল। যত দিন পর্যন্ত সরকার বই বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করেনি, ততদিন বই দিতে থাকেন। এর পর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক শ্রেণির ছাত্রদের বই দিতে থাকেন তিনি। তাঁর দেওয়া বই পড়ে ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরি করছেন অনেকেই।বই বিলানোর পাশাপাশি দই বিক্রির টাকায় গড়ে তোলেন ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’। ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়ির একটি ঘরে গড়া এই পাঠাগারে এখন ১৪ হাজারের বেশি বই আছে। বইয়ের তাক থেকে একটি নিয়ে ধূলা মুছতে মুছতে জিয়াউল হক বলেন, ‘দই বিক্রির টাকা দিয়ে পাঠাগার স্থাপন ও বই বিতরণ করায় এলাকার অনেকেই আমাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। প্রয়াত
মন্তব্য