পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>> কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিন্মচাপের প্রভাবে টানা কয়েকদিনের ভারীবর্ষণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।এ ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিন্ম এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। প্লাবিত হওয়ার ঝু্কিতে রয়েছে উপজেলা পেকুয়ার উজানটিয়া,মগনামা,রাজাখালী,টইটং,শীলখালী ও সদরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সিরাদিয়া,জালিয়াখালী,বিলহাচুড়া, দক্ষিণ মেহের নামা ও পূর্বমেহেরনামা। উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন বারবাকিয়া, টইটং ও শীলখালী পাহাড়বেষ্টিত হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। তবে এসমস্ত পরিবারসহ অসহায় দিন মজুর ও ছিন্নমুল পরিবারের মাঝে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণের কোনরূপ তৎপরতা বা উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি।সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাজ করতে পারছে না দিন মজুরেরা। ফলে অনাহারে দিন পার করছেন খেটে খাওয়া দিন মজুর ও ছিন্নমুল মানুষেরা। চলমান বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চরম বিপর্যয়ে পড়বে পেকুয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ।বারবাকিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এইচ এম বদিউল আলম জানান,টানা বর্ষণে এখনো পর্যন্ত আমার ইউনিয়নের কোন এলাকায় প্লাবিত হয়নি। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।টইটং ও শীলখালীর ইউপি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল আলীম জানান,অবিরাম বৃষ্টিতে টইটং ও শীলখালীর ইউনিয়নে পাহাড় ধ্বস কিংবা প্লাবিত হয়নি।বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে শীলখালী ও টইটংয়ের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিতে পারে।উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নে দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর পেয়ারা বেগম এর কাছে জানতে ব্যবহৃত মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সংযোগ না দেয়ায় বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, এখনো পর্যন্ত কোন ধরণের দূর্ঘটনা বা কোন এলাকা প্লাবিত বা বন্যা হয়নি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া টু কাটাফাঁড়ি সংযোগ সড়কের রূপাই খালের অংশে ধ্বসে যাওয়ার সংবাদ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে এবং গতকাল ডিসি স্যারও পরিদর্শন করে গেছেন ঐ ধ্বসে যাওয়া অংশ। শীগ্রই এটা সংষ্কারে ব্যবস্তা নেয়া হবে। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে প্লাবন ও পাহাড়ি ঢলে শীলখালীর সবুজ পাড়া,সদরের উত্তর মেহেরনামার সাকুর পাড়া,বাঘগুজারা,চৈরভাঙ্গা হরিণাফাঁড়িসহ বেশকিছু নিন্মাঞ্চল প্লাবিত বা বন্যা হতে পারে।এতে সাধারণ মানুষেরা খাদ্য সংকটে পড়তে পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ডিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আগাম প্রস্তুতি নেয়া হবে।
মন্তব্য