উপজেলা প্রতিনিধি,(সাঘাটা) গাইবান্ধা >>> গাইবান্ধার সাঘাটায় কুকুরের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। পথঘাট, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় দলবেঁধে বিচরণ করছে বেওয়ারিশ কুকুর। গত ১৫ দিনে শিশুসহ অর্ধশত মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, গত ১৫ দিনে উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমবাটি গ্রামের ফারুকুল ইসলাম (৪১), বাবলু মিয়া (৫০), মিজানুর রহমান (৪৩), সোয়াত আল রহমান (১২), দলদলিয়া গ্রামের রামপ্রসাদ (৩৬)-সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অর্ধশত লোক কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের ফারুকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে রাস্তায় চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। হেঁটে যাওয়ার সময় এসব কুকুর দৌড়ে এসে কামড় দিচ্ছে। সাঘাটা হাসপাতালে না পেয়ে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। যত্রতত্র কুকুরের আনাগোনায় শিশুসহ নানা বয়সের লোকজন বিপাকে পড়েছেন। এসব কুকুর দলবদ্ধ হয়ে বিচরণ করে বোনারপাড়া বাজার, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায়। বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিমবাটি গ্রামের নয়াপাড়া এলাকার লোকজনবেশি আতঙ্কে আছেন। রাস্তায় মানুষ দেখলেই কুকুর দলবেঁধে ধাওয়া করে কামড় দিচ্ছে।নয়াপাড়া এলাকার বাবলু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, কুকুরের এত উপদ্রব বাড়লেও নিধনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। কুকুরের ভয়ে মানুষের কাজকর্মে ব্যাঘাত হচ্ছে।এ ব্যাপারে কথা হলে সাঘাটা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মুসফিকুর রহমান বলেন, জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিন রোগী আসছে ভ্যাকসিন নিতে। সরবরাহ অনুসারে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিনকে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
মন্তব্য