আবদুর রাজ্জাক।। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ব্যক্তি মালিকানাধীন জলমহল ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে । এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞ চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জাফর আলম গং।জানা যায়, জাফর আলমগংএর মালিনাধীন ১২.৩০/- একর জমির বিষয়ে জেলা প্রশাসক গত ১২/৫/২০২৪ ইং তারিখে আফজালুর রহমানকে ইজরা দেওয়ায় উক্ত ইজারার বিরুদ্ধে জাফর আলম গং কতৃক দায়ের করা অপর ৪০/২০২৩ইং নং মামলায় বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত কক্সবাজার বিগত ১৩/৬/২০২৪ ইংরেজি তারিখে ( status-quo) বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং উক্ত বিষয় গত ৩১/৭/২০২৪ইং তারিখে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহেশখালীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর মাতারবাড়ি মাইজপাড়া এলাকার মৃত আলফাতুন এর পুত্র জাফর আলমগং সরকারি তৎকালীন প্রস্তাবিত নীতিমালার আলোকে ১৯৬৭-৬৮ ইংরেজি সালে ৯৯ নং এবং ১৯৬৯-৭০ ইংরেজি সালে ৫৬/১ নং সেটেল্টমেন্ট মামলা মূলে ৭.৮৫ ও ৪.৪৫ একর মোট ১২.৩০ একর জমি যথারীতি বন্দোবস্তি প্রাপ্ত হইয়া মালিক স্বত্বাধিকারী হইয়াছে। তৎমতে তৎকালীন এস,ডি,ও কক্সবাজার এবং সার্কেল অফিসার রেভিনিউ ০৮/০১/১৯৬৯ ইংরেজি তারিখ ট্রেসম্যাপ সহ উক্ত আলফাতুনের বরাবরের চূড়ান্ত বন্দোবস্ত অনুমোদন ও জমি দখল প্রদানের আদেশ প্রচার করিয়াছেন। যাহার নং আর,এস দাগ নং যথাক্রমে ৯৪ ৬১, ৪৫৫০, ৪৫৫৫,৪৫৭৯ (২.৩০+৯.৩৩+.৩৭+.৩০)-১২.৩০ একর জমিতে উক্ত আলফাতুন মালিক স্বত্বাধিকারী হইয়াছেন এবং ভোগদখলে নিয়োজিত হন। প্রোক্তমতে নিরঙ্কুশ মালিক স্বত্বাধিকারী আলফাতুন নিজ নামে খাজনা আদায় করার জন্য জমাবন্দি খতিয়ান খোলার আবেদন করিলে ১৯৬৭-৬৮ ইংরেজি সনের ৯৯ নং বন্দোবস্তি মোকাদ্দামার হুকুম মতে তৎকালীন সি ও রেভিনিউ মহেশখালী ১৭/০৭/১৯৬৭ ইংরেজি তারিখ ১৬২৬/১ নং এবং ১৯৬৯-৭০ ইংরেজি সনের ৫৬/১ নং বন্দোবস্তী মোকাদ্দামা হুকুম মতে ১৬/১০/১৯৭০ ইংরেজি তারিখ সি ও রেভিনিউ মহেশখালী উক্ত আলফাতুন এর নামে ১৬৫২/১ নং জমাবন্দী খতিয়ান সৃষ্টি করিয়া নেন এবং খাজনা গ্রহণ করেন। তৎ মতে স্বত্ববান থাকা অবস্থায় আলফাতুন মৃত্যুবরণ করিলে তৎস্বত্ব ওয়ারিগন চার পুত্র জাফর আলম গং পায়। তৎপর উক্ত বন্দোবস্তির প্রাপ্ত চারটি আর এস দাগে ১২.৩০ একর জমি ভুলক্রমে এর বি, এস ১ নং খাস খতিয়ানের বি, এস ১২৯৫২ নং দাগের অন্তর্ভুক্ত হইলে জাফর আলম গং নামজারী জমাভাগ খতিয়ান খোলার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহেশখালী বরাবরে আবেদন করেন। জাফর আলম গং এর আবেদনের প্রেক্ষিতে জাফর আলমের নামে ২৩১৪ (ii) ২০১১-১২ ইংরেজি খ্রিস্টাব্দ এবং ০৫ (ii) ইংরেজি খ্রিস্টাব্দ নং নামধারী জমাভাগ মামলা রুজু হয়। যথারীতি বিগত ১০/১২/ ২০১২ ইংরেজি ও ২০/০১/২০১৩ ইংরেজি তারিখের আদেশমতে উক্ত জাফর আলম গং এর নামে ৪.৪৫ একর ও ৭.৮৫ এজর জমির জন্য নামজারী জমাভাগ ৪০১৮/১, ৫০৪০ নং খতিয়ান সৃজন করত: চুড়ন্ত প্রচার করেন এবং তৎমতে জাফর আলম গং খাজনা আদায় করিয়া আসিতেছেন।ইতিমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজস্ব আদালতে নামজারী আপিল ৫৯/২০১৬ ইং নং মামলা স্থানীয় সালেহ আহাম্মদ দায়ের করলে জাফর আলম গং এর পক্ষে বিগত ১৮/০৪/২০১৬ ইংরেজি তারিখ খারিজ হয় এবং নামজারী জমাভাগ খতিয়ান নং ৪০১৮/১, ৫০৪০ বহাল রেখেছেন। এ লক্ষ্যে প্রতিয়মান হয় যে উল্লেখিত দুটি সেটেলমেন্ট বন্দোবস্তী মামলামূলে জাফর আলম পিতা আলফাতুন আর,এস ৪ টি দাগের আন্দর ১২.৩০ এখন ভূমির তুলনামূলক বি,এস ১ নং খাস খতিয়ানের বি,এস ১২৯৫২ নং দাগের আন্দর এবং তুলনামূলক দিয়ারা ১ নং খতিয়ানের ১১৪৪৭ নং দাগের আন্দর ১২.৩০. একর জমিতে জাফর আলম গং এর স্বত্ত্ব থাকার বিষয়ে প্রমাণিত হয়।উল্লেখ্য, জাফর আলম গং কর্তৃক দায়ের করা অপর ৪০/২০২৩ ইংরেজি নং মামলায় বিজ্ঞ যুগ্ন-জেলা জজ ১ম আদালত কক্সবাজার বিগত ১৩/০৬/২০২৪ ইংরেজি তারিখে ( Status-quo) বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন যা অদ্যবধি বলবৎ আছে।জমির তফশিল -মৌজা মাতারবাড়ি,থানা/উপজেলা মহেশখালী, জেলা*কক্সবাজার। জমাবন্দি খতিয়ান নং-১৬২৬/১, ১৬৫২/১ এর দাগ নং-৯৪৬১, ৪৫৫০, ৪৫৫৫, ৪৫৭৯ জমির পরিমান (২.৩০+৯.৩৩+.৩৭+.৩০)-১২.৩০ একর তুলনামূলক বি, এস খতিয়ান নং ৪০১৮/১ ও ৫০৪০ এবং বি, এস দাগ নং ১২৯৫২ জমির পরিমান যথাক্রমে ১২.৩০ একর। তুলনামূলক দিয়ারার খতিয়ান নল ০১ দিয়ারার দাগ নং ১১৪৪৭ এর জমির আন্দর ১২.৩০ একর।এদিকে জায়গার মালিক জাফর গংকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী তাকে জমির খাজনা না দিয়ে তাকে উল্টো হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে জাফর আলম গং প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মন্তব্য