৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
অসহায় নারীকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা রিনি মানবিক সহায়তা পিরোজপুর-২ আসনে নেছারাবাদ থেকে বিএনপি প্রার্থী চেয়ে হাতে ব্যানার নিয়ে নারীদের মিছিল বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন সহযোগিতার অঙ্গীকার ৩ বিজিবির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি অবৈধ কাঠ আটক শোক সংবাদ। তানোরে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারেজ এলাকা দেখা মিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নে সমাজসেবায় কাজ করতে চান মোঃ শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে বিএনপির এমপি প্রার্থী সহ গুলিবিদ্ধ ২ একজন আশঙ্কা জনক সাতকানিয়ায় এস এস সি ও আলীম কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদযাপন
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • ভুরুঙ্গামারীতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ৩৪৫ নারী পাবেন ৩০ মাস ধরে চাল।
  • ভুরুঙ্গামারীতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ৩৪৫ নারী পাবেন ৩০ মাস ধরে চাল।

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মিজানুর,নাগেশ্বরী,কুড়িগ্রাম >>> স্বচ্ছতা, মানবিকতা ও জবাবদিহিতার নজির গড়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল। সরকারি সহায়তা যেন প্রকৃত উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছে—এমন লক্ষ্যে তিনি গ্রহণ করেছেন অনন্য ও ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। ভিডাব্লিউবি (Vulnerable Women Benefit) কার্ডের জন্য দরিদ্র নারীদের লটারির মাধ্যমে বাছাই কার্যক্রমের আয়োজন করেন তিনি।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই লটারির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপার ভাইজার আবুল হোসেন। ইউপি সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও শতাধিক গ্রামীণ নারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নে মোট ১ হাজার ৪২ জন দুঃস্থ নারী অনলাইনে ভিডাব্লিউবি কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সেখান থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ৯টি ওয়ার্ডে লটারির মাধ্যমে ৩৪৫ জন নারীকে নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত প্রত্যেকেই আগামী ৩০ মাস ধরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডলের এ ধরনের উদ্যোগ ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।একজন নারী উপকারভোগী আবেগ ছুঁয়ে বলেন, “আগে ভাবতাম, যারা পরিচিত বা তদবির করে তারা-ই শুধু এসব সুবিধা পায়। এবার দেখি, লটারিতে আমার নাম উঠে এসেছে। এটা স্বপ্নের মতো। চেয়ারম্যান সাহেব সত্যিই গরিবের পাশে আছেন।”ইউএনও গোলাম ফেরদৌস বলেন,”প্রকৃত দরিদ্ররাই যেন সরকারি সহায়তা পান, তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর লটারি পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে পক্ষপাত বা স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নেই। এই উদ্যোগ স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।”স্থানীয় ইউপি সদস্যরাও জানান, এমন স্বচ্ছ পদ্ধতির কারণে জনআস্থা ফিরছে এবং প্রকৃত অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফুটছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page