৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
অসহায় নারীকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আরা রিনি মানবিক সহায়তা পিরোজপুর-২ আসনে নেছারাবাদ থেকে বিএনপি প্রার্থী চেয়ে হাতে ব্যানার নিয়ে নারীদের মিছিল বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন সহযোগিতার অঙ্গীকার ৩ বিজিবির গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি অবৈধ কাঠ আটক শোক সংবাদ। তানোরে বিষ পানে গৃহবধূর মৃত্যু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারেজ এলাকা দেখা মিলে কাঞ্চনজঙ্ঘা সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নে সমাজসেবায় কাজ করতে চান মোঃ শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামে বিএনপির এমপি প্রার্থী সহ গুলিবিদ্ধ ২ একজন আশঙ্কা জনক সাতকানিয়ায় এস এস সি ও আলীম কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদযাপন
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু
  • বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ সোহেল রানা,বান্দরবান প্রতিনিধি >>> বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা শুরু হয়েছে।সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে শহরের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ছোয়াইং দান, ধর্মীয় দেশনা ও সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।উৎসবকে ঘিরে বান্দরবানের বিহারগুলো এখন উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে । দায়ক-দায়ীকা, নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতীসহ সব বয়সের মানুষের সরব অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ।তিন দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এতে  ফানুস উড়ানো, পিঠা তৈরি, রথ টানা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে প্রবারণা পূর্ণিমার প্রধান আকর্ষণ ফানুস উৎসব, যেখানে আকাশভরা ফানুস উড়িয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন অংশগ্রহণকারীরা।বৌদ্ধ ধর্মমতে, আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালনের পর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়। এই দিনে গৌতম বুদ্ধের মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি গ্রহণ, গৃহত্যাগ এবং ধর্মচক্র প্রবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। তাই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয়।

    মারমা সম্প্রদায়ের একদল যুবক-যুবতী বলেন, “এই দিনের জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। সকালে ছোয়াইং দান করেছি, প্রদীপ জ্বালিয়েছি, প্রার্থনা করেছি। বিকেলে সবাই মিলে ফানুস উড়াব। এটা আমাদের মিলনমেলার দিন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ করার সুযোগ।”উৎসব নির্বিঘ্ন রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, “এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ উৎসব। উৎসবটি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবেন।”তিন দিনব্যাপী এই উৎসব আগামী ৭ অক্টোবর রথ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page