পেকুয়া প্রতিনিধি >>> কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিয়ের দাবী নিয়ে ওমান প্রবাসীর বাড়িতে অনশন করেছে তরুণী। এসময় প্রবাসী ও স্বজনরা ওই তরুণীকে শারীরিক লাঞ্চিত করায় অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হতভাগী তরুণী। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার সময় উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলার পাড়া এলাকার শফিউল আলমের ছেলে ওমান প্রবাসী মো.সাজ্জাদ (২৪) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউপির সেলবন কবির সিকদার পাড়ার আবদুল মালেকের মেয়ে তানজিনা আক্তার (১৮) এর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক বছর আগে রং নম্বরে পরিচয় হয় সাজ্জাদের সঙ্গে। পরে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুজনের মধ্যে নিয়মিত মুঠোফোনে কথোপকথন চলত। সম্প্রতি সাজ্জাদ ওমান থেকে বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে প্রেমিকা তানজিনা ছনুয়া থেকে পেকুয়ায় প্রেমিক সাজ্জাদের বাড়িতে আসে। এসময় বিয়ের দাবীতে বিষের বোতল নিয়ে তরুণী প্রবাসীর বাড়িতে অনশন করে। এ সময় সাজ্জাদের মা ও ভাই নেচার তানজিনা আক্তারকে মারধর করায় অপমানে এক পর্যায়ে তিনি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।হতভাগী তানজিনা আক্তার বলেন, এক বছর আগে থেকে সম্পর্ক আমাদের। মোবাইলে নিয়মিত কথাবার্তা হয়েছে। দেশে এসে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর্থিক টানাপোড়েনে ছিল। দেশে আসতে বিমান ভাড়ার টাকাও পাঠিয়েছে আমার পরিবার। আমাদের সম্পর্ক দু’পরিবার মধ্যে জানাজানি হয়। এমনকি সাজ্জাদ বিদেশ থাকা অবস্থায় তাঁর মাসহ স্বজনরা আমাকে দেখতে আমার বাড়িতে গিয়েছিলেন। রমজানের প্রথম দিন সাজ্জাদ দেশে আসে। এসময়ও আমার সাথে নিয়মিত ফোনে কথা হয়েছে। একবার সরাসরি দুজন দেখাও করেছি। চার-পাঁচ দিন আগে হঠাৎ সাজ্জাদ জানায় আমাকে নাকি তাঁর মা ও স্বজনদের পছন্দ হয়নি। মায়ের পছন্দ না হওয়ায় সে আমাকে বিয়ে করতে পারবেনা। সাজ্জাদ আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। বিয়ের দাবীতে সাজ্জাদের বাড়িতে অনশন করছি। এসময় সাজ্জাদ ও তাঁর মা আমাকে ব্যাপক মারধর করে। অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করছি।তানজিনার মা জোহরা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করছে। গত কয়েকদিন ধরে মেয়েকে হতাশা ও দুঃচিন্তা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। একজন মোবাইল করে জানায় আমার মেয়ে বিষপান করেছে। পেকুয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে।পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম জানায়, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শারীরি অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
মন্তব্য