সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি >>> রাজশাহীর তানোর উপজেলায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গ্রামাঞ্চলের পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে দেশি গরুর বেচাকেনা। ভারতীয় গরুর অনুপস্থিতিতে এবার দেশি খামারিরা স্বস্তিতে রয়েছেন এবং পাচ্ছেন ভালো দামও। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কিছুটা কম।সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্ডমালা পৌরসভার পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে গরু ও ছাগলের বেচাকেনা। বিশেষ করে মাঝারি আকৃতির গরুর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের। এসব গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলেও, বড় গরু তুলনামূলক কম এসেছে এ বছর। বড় গরুগুলো ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরুগুলোর দাম ৬৫-৭০ হাজার টাকার মধ্যে।খামারি ও বিক্রেতাদের দাবি, ভারতীয় গরু না থাকায় এবার দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। তবে অনেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন লাভ নিয়ে, কারণ দাম কিছুটা কম হলেও ক্রেতার সংখ্যা এখনও প্রত্যাশিত মাত্রায় পৌঁছায়নি।খামারি রুস্তম আলী বলেন, “খামারে ৫টি মাঝারি গরু ছিল, এর মধ্যে ৩টি বিক্রি করেছি। বাকি ২টি মুন্ডমালায় এনেছি, আশা করছি লাভ হবে।”গরু কিনতে আসা রায়হান আলী জানান, “এবার দাম তুলনামূলক কম, তাই আগেভাগেই গরু কিনে ফেলেছি। সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”মুন্ডমালা ছাড়াও তানোর উপজেলার গোল্লা পাড়া এবং চৌবাড়িয়া হাটে আগামী শুক্রবার বসবে কোরবানির শেষ হাট। এর মধ্যে চৌবাড়িয়া হাট অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় পশুর হাট হিসেবে পরিচিত।সব মিলিয়ে বলা যায়, এবছর দেশি গরু দিয়েই কোরবানির বাজার জমে উঠেছে তানোরে। লাভের মুখ দেখছেন খামারিরা, আর ক্রেতারাও পাচ্ছেন তুলনামূলকভাবে কম দামে পছন্দের পশু।
মন্তব্য