এম,এ কাশেম,চট্টগ্রাম থেকে>>> বাংলাদেশে গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংযুক্ত আরব আমিরা (ইউএই) তে মিছিল ও বিক্ষোভ করার দায়ে আটক আর ও ৭৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ করার দায়ে আটক মোট ১৮৮ জন প্রবাসী মুক্তি পেলেন।শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেফায়েত হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যম কে।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নের্তৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপের পর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।মুক্তি পাওয়া ৭৫ জন বাংলাদেশী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরতে পারেন।এর আগে বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মিছিল ও বিক্ষোভ করার দায়ে আটক ১১৩ জনকে মুক্তি দেয় আমিরাত সরকার। তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত: ওই বাংলাদেশীরা বিক্ষোভ করে সংহতি প্রকাশ করেছিলো।সে সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে।পরে আবুধাবি ফেডারেল আদালত ৫৭ জনকে ১১ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়।২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসের নের্তৃত্বাধীন প্রশাসন এসব বন্দির মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়।ড. ইউনূস ব্যক্তিগত ভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সাথে যোগাযোগ করেন।আর সেই যোগাযোগ এর ফল স্বরূপ সৈ দেশে আটক হওয়া উক্ত বাংলাদেশীরা মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হয়।উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবুধাবিতে অবস্থান রত: উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৪ নং ধুম ইউনিয়নের অধিবাসী মোহাম্মদ ইব্রাহিম মির্জার ছোটো ভাই ও রয়েছেন বলে জানা গেছে।দীর্ঘ কয়েক মাস কারাভোগের পর তার ছোট ভাই সহ অন্যান্য বাংলাদেশীরা মুক্তি লাভ করায় মোহাম্মদ ইব্রাহিম মির্জা আল্লাহর দরবারে শোকর আদায় করেছেন।
মন্তব্য