আনোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি >>> গ্রামবাংলার অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় ফুল কলমিলতা। এ কলমিলতা ফুল নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ জনপদের নৈর্সগিক প্রকৃতিতে মায়াবী রূপে ফুটে অপরূপ সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে। রূপবতী কলমি ফুলের স্নিগ্ধ কোমল পাপড়ির ঝলমল করা রূপে বিমোহিত হচ্ছেন সবাই। কলমিলতা জলাধারের উদ্ভিদ যা দেখতে দন্ডায়মান লতার মতো। ফুলের গড়ন মাইকের মতো। অঞ্চলেভেদে নানা নামকরণ থাকলে এ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছে কলমিলতা ফুল নামে পরিচিত। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলমিলতা ফুল নদী-নালা,খাল-বিল,জলাশয়ের ধারে পসরা সাজিয়ে হালকা সাদা-গোলাপি রংয়ের মিশ্রণে ফুটে অপরূপ রূপের ছটায় ছলছল করছে। এ ছলছল রূপে মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারী ও ফুল প্রেমীরা। এরই মাঝে দেখা গেছে,কিশোরগঞ্জ-মাগুড়া সড়কের গাড়াগ্রামের দোলা এলাকায় ওই সড়কের ধারে সারি সারি কলমিলতা ফুল ফুটে সবুজের মূর্ছনায় সেখানকার নৈসর্গিক প্রকৃতিকে বর্ণিল করে তুলেছে। ওই পথে চলাচলকারীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে কলমিলতা ফুল মায়াভরা রূপ সৌন্দর্য বিলিয়ে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ হয়তো তার এমন রূপ সৌন্দর্য দেখবে বলে এমনভাবে মেলে ধরেছে, তা উপভোগ না করার সাধ্য কার। পথচারী রানা হামিদ বলেন, অযত্নে বেড়ে উঠে কলমিলতা তার ফুল ফুটে যেন ময়াবী রূপের ডালি সাজিয়েছে। যেন স্নিগ্ধ প্রকৃতিতে কোমলতার ছোঁয়া। কলমিলতার ফুলের অনন্য সৌন্দর্য হৃদয়-মনকে প্রশান্তি দেয়। তার রূপে বিমোহিত না হয়ে পারা যায় না। উপজেলার আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সুধীর চন্দ্র বলেন, কলমিলতা ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের পাশাপাশি এর রয়েছে নানা কাজে ব্যবহারসহ ভেষজ ওষধিগুন। কলমির পাতার রস জ্বর নিবারক।কৃমি, কুষ্ঠ, শ্বেতী,জ্বর ইত্যাদি সমস্যা নিরসনে ফুল ও পাতার কুঁড়ি কার্যকর। ফসলের বেড়াসহ বাসা-বাড়ির উঠান ঘেরার কাজে কলমিলতা ব্যবহার হয়ে থাকে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,কলমিলতা ভেজা ভূমিতে জন্মায়। এর ছোট ছোট শাখা রসালো ও ভাসমান। কাণ্ড ফাঁপা। দণ্ডায়মান লতানো গাছ ৩ থেকে ৪ ফি লম্বা হয়ে থাকে। স্বল্পসংখ্যক ফুল ফুটে। ফুল দেখতে খুবেই সুন্দর। ফুলের গড়ন মাইকের মতো। ভোর থেকেই এই ফুল ফুটতে শুরু করে তা ব্যাপ্তি থাকে দুপুর পর্যন্ত। এরপর আস্তে আস্তে গাছ থেকে ঝরে পড়ে। গ্রামের দস্যিপনা ছেলে-মেয়েরা এ ফুল তুলে এনে খেলা করে।
মন্তব্য