আনোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি >>> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবং ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের উপর পুলিশের বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দাবিকৃত প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত সহস্রাধিক শিক্ষক- কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম আজমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, রণচন্ডী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল হোসেন, বড়ভিটা স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাদশা আলমগীর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি আব্দুল জলিল। এছাড়াও শিক্ষকদের দাবি একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম, উপজেলা শাখার আমীর আব্দুর রশিদ শাহ্, সেক্রেটারি ফেরদৌস আলম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা শাখার সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর জেলা ও মহানগর উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় বক্তাগণ, ঢাকায় শিক্ষক -কর্মচারীদের উপর পুলিশের বর্বর হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩ দফা দাবি ১২ঘণ্টার মধ্য বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। তা না হলে অনিদৃষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনসহ তারা দাফনের কাফন পড়ে দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তাদের দাবি সমূহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নিকট বাস্তবায়নের মেসেজ পাঠানোর জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ যান। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়ন আশ্বস্ত করে বলেন,অচিরেই আপনাদের সমস্যা সমাধান হবে। জানা গেছে, শিক্ষকদের দাবি, মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা (ন্যূনতম ৩,০০০ টাকা), শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ১,৫০০ টাকা হারে চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে প্রদান করা।











মন্তব্য