কনট্রিবিউটিং রিপোর্টার,কুড়িগ্রাম >>> উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ জেলার প্রধান নদনদীগুলোর পানি বেড়ে গিয়ে অববাহিকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।জেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ২৯৯ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের—১২১ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বাদাম ৭৫ হেক্টর, পাট ৪১ হেক্টর, এবং বিভিন্ন শাকসবজি ও মসলা ফসলের জমি ৪৮ হেক্টর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে বাদামের জমি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে সরেজমিনে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নিচু এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। কিছু কৃষক পানির মধ্যেই ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে গেলেও রোদ না থাকায় শুকাতে পারছেন না। ফলে কাটা ধানও ঘরে বসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।রাজারহাট উপজেলার কৃষক মামুনুল ইসলাম বলেন, “আমি ৪ একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছিলাম। এর মধ্যে ২ একর জমির ধান কেটে এনেছি, কিন্তু রোদ না থাকায় শুকাতে পারছি না। বাকি ২ একর এখনো পানির নিচে। আবহাওয়ার যে অবস্থা, তাতে এই ধান আদৌ কাটতে পারবো কি না, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।”একই অভিযোগ করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার তালুককালুয়া গ্রামের কৃষক একরামুল হক। তিনি বলেন, “আমার দুই একর জমির ধান কেটেছি, কিন্তু বাড়িতে এনে রোদ না থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”আবহাওয়াজনিত এ দুর্যোগে কুড়িগ্রামের কৃষকেরা চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য