মনসুর আহম্মেদ নিজস্ব প্রতিবেদক রাঙ্গামাটি
আবারো চলাচলের উপযোগি হয়েছে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতটিু।অতি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতুটি দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন পর ভেসে উঠেছে। চলাচলের উপযোগি হওয়ায় পর্যটন এলাকায় দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।আজ শুক্রবার সকালে পর্যটন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ায় আবারো নতুনভাবে শুরু হয়েছে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ঘষামাজার কাজ।পর্যটকদের জন্য এলাকাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সবার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন এলাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি আগত পর্যটকসহ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দ্যয্যের লীলা ভূমি হ্রদ, পাহাড় ও ঝর্ণার মিলন মেলার জেলা রাঙ্গামাটি। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর এই জেলায় দেশী বিদেশী কয়েক লক্ষ পর্যটক ভ্রমণ করেন। রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন কর্পোরেশনের ঝুলন্ত সেতু।এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) জানান, এবারের বর্ষা মৌসুমে রাঙ্গামাটিতে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার ফলে ডুবে যায় ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু।এ কারনে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেয়া হয় এবং পর্যটন এলাকায় নিষেধজ্ঞা দেয়া হয়। পানি কমে যাওয়ার ফলে ঝুলন্ত সেতু ভেসে উঠায় গতকাল ১ মাস ১৬ দিন পর আবারো আমরা পযটকদের জন্য ঝুলন্ত সেতু চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে পর্যটন এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ পর্যটকদের চলাচলের উপযোগি করতে আমরা রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা পুরো এলাকাটি সবার জন্য চলাচলের উপযোগি করতে পারবো।
রাঙ্গামাটি পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার মো. রমজান আলী বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে(বাসস) জানান, বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টির কারনে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকার কারনে আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিগত দেড়মাস আমরা ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পরিস্থতি এখন আবার স্বাভাবিক হওয়াতে আশা করছি আগের ক্ষতি পুষিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবো।কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সাথে-সাথে প্রতিবছরই ঝুলন্ত সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির স্তর ১০৯ ফুট থাকলেও হ্রদে ১০৫ ফুট পানি হলেই ডুবে যায় পর্যটনের এই ঝুলন্ত সেতু। এ কারনে পুরোনো ঝুলন্ত সেতুসহ পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য আরো আধুনিকায়ন করার দাবি এলাকাবাসীর।পর্যটনের এই ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের জন্য স্বাভাবিক হওয়ায় আগামী শীত মৌসুমে পর্যটকদের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠবে রাঙ্গামাটি তেমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য