২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
র‍্যাবের এজাহারে মূল আসামি, পুলিশের চার্জশিটে বাদ গেলেন ১৫ মামলার আসামী মহেশখালীর এনাম চেয়ারম্যান নবাগত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে চট্টগ্রাম জেলা উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে কিশোরগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি,পরিশেষে দাবি পূরণে আনন্দ-উল্লাস অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু দুর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধুর মৃত্যুর পর পালালো স্বামী রাজশাহী তানোরে হিমাগারে মজুদ আলু নিয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের চরম দুশ্চিন্তা ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় >> কক্সবাজার >> চট্টগ্রাম >> দেশজুড়ে
  • র‍্যাবের এজাহারে মূল আসামি, পুলিশের চার্জশিটে বাদ গেলেন ১৫ মামলার আসামী মহেশখালীর এনাম চেয়ারম্যান
  • র‍্যাবের এজাহারে মূল আসামি, পুলিশের চার্জশিটে বাদ গেলেন ১৫ মামলার আসামী মহেশখালীর এনাম চেয়ারম্যান

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার :- কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হত্যা ও অস্ত্রসহ ১৫ মামলার আসামি এনামুল হক ওরফে একে এনামকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অস্ত্র মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই (তদন্ত কর্মকর্তা) নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে।পুলিশের তথ্যমতে, এনামুল হকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানাসহ কক্সবাজারে রয়েছে একাধিক মামলা, যার মধ্যে হত্যা, অস্ত্র ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত। মামলাগুলো হল,১। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১৫/৯৪, তারিখ- ০৮ এপ্রিল, ২০১৭; ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৪২/৪২৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড.।২। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-৫/২৬, তারিখ- ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭; ধারা- ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/৩৫৩ পেনাল কোড.৩। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১৬/৩১৪, তারিখ- ১৬ নভেম্বর, ২০১৬; ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ পেনাল কোড.৪। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১/২৯৯, তারিখ- ০২ নভেম্বর, ২০১৬; ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৮০/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড৫। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১৭/২৮৫, তারিখ- ১৬ অক্টোবর, ২০১৬; ধারা- ১৪২/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড.। ৬। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-২০, তারিখ- ২৯ অক্টোবর, ২০২৩; জি আর নং-১৮১, তারিখ- ২৯ অক্টোবর, ২০২৩; সময়- রাত ২৩.৩০ ঘটিকা ধারা- 15(3)/25(d) The Special Powers Act, 1974; ,৭। কক্সবাজার সদর থানার ,এফআইআর নং-৭২/২৭১, তারিখ- ২২ এপ্রিল, ২০১৪ – ধারা- ৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ ( সংশোধনী ২০০৩); ,৮। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-৪/১৭৬, তারিখ- ০৭ অক্টোবর, ২০০৫; ধারা- ৩০৭/১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৬৪/৩৭৯/৩৪/৩৮০ পেনাল কোড। ৯। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-২৫/২৩৯, তারিখ- ২৮ অক্টোবর, ২০১০; – ধারা- ৩৮৫/১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৪২৭/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০; ,১০। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-৩৫/২৭৪, তারিখ- ২৯ আগস্ট, ২০১৫; – ধারা- ১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪২/১০৯ পেনাল কোড-১৮৬০; ,১১। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-৪/২৪৩, তারিখ- ০৩ আগস্ট, ২০১৫; – ধারা- ৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৬৪/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড। ১২। মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১০/১৪৮, তারিখ- ১৫ জুলাই, ২০১১; ধারা- ৩০২/১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৪ পেনাল কোড-। ১৩।  মহেষখালী থানার ,এফআইআর নং-১৫/২৯৮, তারিখ- ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮; ধারা- ৩/৩(এ) /৬ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন; তৎসহ ১৪৩/৪৩৬/৪২৭/৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড। ১৪।  মহেষখালী থানার এফআইআর নং-১৩, তারিখ- ১০ মার্চ, ২০০৭; জি আর নং-৬৮, তারিখ- ১০ মার্চ, ২০০৭; সময়- ধারা- ১৯(a)/১৯(c) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; , এজাহারে অভিযুক্ত -১৫. কক্সবাজার সদর থানার ,এফআইআর নং-৯, তারিখ- ০৪ জুলাই, ২০২৫; জি আর নং-৩৪৩, তারিখ- ০৪ জুলাই, ২০২৫; সময়- ২০.১৫ ঘটিকা। ধারা- 19A/19(f) The Arms Act, 1878;

    সে দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাব ও অর্থের জোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের সহায়তা নিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগও রয়েছে।

    সম্প্রতি দাখিলকৃত এক মামলার অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ এনামের নাম চার্জশিট থেকে রহস্যজনকভাবে বাদ দিয়েছেন। অথচ র‍্যাব এজাহারে উল্লেখ করেন, ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত ৩জন আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথা পলাতক আসামি মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আলোচিত এনাম চেয়ারম্যান অস্ত্র ও এনোমেশন সরবরাহ করতেন। যার র‍্যাবের দায়ের করা এজাহারে এনামকে মূল গডফাদার হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

    এদিকে তদন্ত কর্মকরতার দাখিলকৃত মামলার চার্জশিট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কক্সবাজার র্যাব-১৫ কর্তৃক দাখিলকৃত মামলার এজাহারে নাম-ঠিকানাসহ ৫নং আসামি হিসেবে উল্লেখ ছিলো এনামুল হকের নাম। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন আটককৃত ৩ জন আসামির মোবাইল কললিস্ট পর্যালোচনায় পলাতক আসামি এনামের সঙ্গে কোনো যোগাযোগের তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই ‘যোগাযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়’ তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    মহেশখালীর সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, প্রশাসনের দায়ের করা মামলাগুলিতে কখনো কি আসামিদের কললিস্ট যাচাই করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়? তাছাড়া এ ধরনের কোনো মামলায় আসামিকে কললিস্টের অজুহাত দেখিয়ে হত্যা ও অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে তা এখন পর্যন্ত মহেশখালীর মানুষ দেখেনি।

    মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকার নুরুল হাশেম জানান যে, এনাম চেয়ারম্যান ২০০৪ সালে তার বাবা বকসুকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করলে থানায় এনাম চেয়ারম্যানসহ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত হত্যা মামলাটি আপোষ না দেওয়ায় বিগত ২০১১ সালে তার ছোট ভাই জয়নাল আবেদীনকেও প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে। বিগত ১৬ বছর আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় খুন-গুমসহ বিভিন্ন নারকীয় অপরাধসহ ত্রাসের রাজস্ত কায়েম করে আসছিল। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নিজেকে বিএনপি-জামাত নেতা দাবী করে পূর্বের ন্যায় নারকীয় অপরাধ করে আসতেছে।
    অভিযুক্ত মহেশখালীর হোয়ানকের সাবেক চেয়ারম্যান এনামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দিতে কোন তদবির এবং আর্থিক লেনদেন করেন নি বলে দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

    এ বিষয়ে জানতে ( তদন্ত কর্মকর্তা) এসআই নুর মোহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে লেনদেনের কথা অস্বীকার করে বলেন, তদন্তে যা পেয়েছি তাই দিয়েছি। তাহলে র‍্যাব কি ভুল অপরাধী শনাক্ত করে মামলায় নাম দিয়েছিল এনামকে..? এমন প্রশ্নে উত্তরে নুর বলেন, আমি এয়ারপোর্টে ব্যাস্ত আছি ভাই পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন।
    তবে আলোচিত এই মামলার বাদী র‍্যাব-১৫ এর ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াজ উদ্দিন বলেন, আটক করা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এনাম চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা থেকে বাদ দিলে সে বিষয়ে উর্ধ্বতন মহলের সাথে আলাপ করে করণীয় ঠিক করা হবে।

    এব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, মামলার তদন্তে তো অনেক প্রসেসিং আছে, সব কার্যক্রম শেষ করার পর তদন্তে যেটা সত্য সেটাই রিপোর্ট দেওয়া হয়। এইখানেও তাই হয়েছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page