প্রেস বিজ্ঞপ্তি।। এক্টিভিস্টা চট্টগ্রামের উদ্যোগে, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় উদযাপিত হল ক্লাইমেট স্ট্রাইক ২০২৫ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়।গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু ন্যায়বিচার আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, এলআরপি-৪৮ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার রিদোয়ানুল হাকিম রিয়াদ, একশনএইড বাংলাদেশের ইন্সপিরেটর নাহিদা ইসলাম তৃষা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন যুব সংগঠনের এবং স্পন্সরশিপ শিশুসহ প্রায় ১০০জন সদস্য।অনুষ্ঠানটি শুরু হয় একটি প্রতীকী র্যালির মাধ্যমে, যা জামালখানের খাস্তগীর স্কুল থেকে শুরু হয়ে চেরাগীপাহাড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালির সময় অংশগ্রহণকারী যুবকরা বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব স্লোগান দিয়ে জলবায়ু ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান।প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ভয়েস ফর চেঞ্জ-এর আব্দুল আজিজ, উষার আলোর যুব সংঘের জাবির, কসমিক-এর সুখী, একশন ফর ইউথ ক্লাবের আয়াজ, ইয়ুথ ইনোভেশন ফর একশনের মৌসুমী এবং ইয়ুথ পিপল অফ বাংলাদেশের সিদরাতুল মুনতাহা সহ আরো অনেকে।বক্তারা বলেন, “জলবায়ু সংকট আজ একটি বৈশ্বিক বৈষম্য। যারা সবচেয়ে কম দায়ী, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।” তারা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান এবং যুব সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।এলআরপি-৪৮ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার রিদোয়ানুল হাকিম রিয়াদ বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকটে যুবকদের জ্ঞান ও নেতৃত্বই পারে টেকসই পরিবর্তন আনতে।”ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন শুধু একটি পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতারও অংশ। আমরা বিশ্বাস করি যুবসমাজই পারে এই সংকট মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে।”
অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্লোগানের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।এই কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সমন্বয়ে ছিলেন স্পন্সরশিপ অফিসার বিষু চক্রবর্তী, প্রজেক্ট অফিসার পিকুল দাশ জয় এবং ওয়াইপিজিএফ-এর প্রতিনিধি আব্দুল তারেক
মন্তব্য