কক্সবাজারের পেকুয়ায় অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলামকে অপহরণপর পর,৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে টাকা না দেয়ায় হত্যা ও লাশ গুম করার ঘটনার পরিকল্পনাকারী মো. রুবেল খানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১১ অক্টোব) রাত সাড়ে ৩ টা চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।আটক মোঃ রুবেল চাঁদপুর সদর উপজেলার চরপুরচণ্ডী গ্রামের হাবিবুল্লাহ খানের জৈষ্ট্য ছেলে এবং মোবাইল কোম্পানী বাংলা লিংক এর পেকুয়ার মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট অফিসার (এমডিও) হিসাবে কর্মরত ও অধ্যক্ষ আরিফের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। বাংলা লিংক টাওয়ারটি চৌমহনীর উত্তর পাশে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনের উঠানে স্থাপিত।অভিযান পরিচালনাকারী র্যাব সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পেকুয়া হতে অপহরণের শিকার হন পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম। পরবর্তীতে অপহৃতের মোবাইল থেকে কল করে স্বজনদের নিকট ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। তদন্তে ঘটনার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও অপহৃতের স্বজনদের নিকট কল করে মুক্তিপণ দাবিকারী হিসেবে রুবেলকে শনাক্ত ও তার বিস্তারিত পরিচয় এবং অবস্থানস্থল উদঘাটনে সমর্থ হয় সংস্থাটি। এরপর গতকাল মধ্যরাতে র্যাব ১৫, ১১ ও ৭ এর যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় রুবেলকে গ্রেপ্তারের মিশনে নামে। রাত সাড়ে তিনটায় চট্রগ্রামের আন্দরকিল্লাহ হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।অভিযান পরিচালনাকারী দলের প্রধান র্যাব ১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, অপহরণ ও হত্যাকান্ডে প্রাথমিক পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত রুবেল অন্যতম। এই রুবেলই সরাসরি অপহৃতের স্বজনদের নিকট অপহৃতের মোবাইল থেকে দফায় দফায় কল দিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ছাড়া অপহরণের আগে অধ্যক্ষ আরিফুলের গতিবিধির উপর দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিও করেন বলে স্বীকার করেন এ রুবেল।
অপহরণ ও হত্যায় আরো কয়েকজনের নামে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যা তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করা হবে না।
উল্লেখ্য অপহরণের ১৪ দিন পর ১১ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে অধ্যক্ষ আরিফুলের বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেলকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজারের পেকুয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে র্যাব।
মন্তব্য