২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে  লোহাগাড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ধসে শ্রমিকের মৃত্যু দুর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধুর মৃত্যুর পর পালালো স্বামী রাজশাহী তানোরে হিমাগারে মজুদ আলু নিয়ে কৃষক-ব্যবসায়ীদের চরম দুশ্চিন্তা ধোপাখালীস্থ শশ্মানঘাটে কালীপূজোয় মেতে উঠেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা,পরিদর্শনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা তানোর বিলকুমারী নদী দিন দিন শুকিয়ে যাওয়ার পথে, তবুও মাছের প্রাচুর্যে মুখর রাজশাহীতে ৫২ তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন পুলিশের জালে দুই গরু চোর সহ পিকআপ।
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> খুলনা >> দেশজুড়ে >> বাগেরহাট >> শীর্ষ সংবাদ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • চিংড়ি ও ধান চাষের ফসলি জমি হুকুম দখল প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • চিংড়ি ও ধান চাষের ফসলি জমি হুকুম দখল প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    এম ইদ্রিস ইমন,মোংলা (বাগেরহাট): 

    মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার জন্য ফসলি জমি হুকুম দখল প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জমির মালিকেরা। শুক্রবার ২২(সেপ্টেম্বর)বেলা সাড়ে ১১টায় দিগরাজ বাজার এলাকার মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করেন জমির মালিকেরা। সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে এ মানববন্ধনে প্রায় ৫হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে জমির মালিকেরা বক্তব্যে বলেন, জমি হুকুম দখল নয়, অধিগ্রহণ করে ন্যার্য মূল্য দিতে হবে। অন্যথায় প্রয়োজনে রক্ত দিবো কিন্তু জমি দিবো না। তারা আরে বলেন, এর আগে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি ও চিলা এলাকার জমি হুকুম দখল করে সেখানে ১৮/১৯ফুট উচু করে বালু ফেলা হয়েছে। সেখানে এখন কোন ফসলই হচ্ছেনা, বরং ঝড়-বৃষ্টিতে আশপাশের বাড়ীঘর বালুতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তীতে সেখানকার মানুষ। তাই আমরা কোনভাবেই আমাদের জমি হুকুম দখল করে নিতে দিবোনা। আমরাও মোংলা বন্দরের উন্নয়ন চাই, তাই আমাদের চিংড়ি মাছ ও লোনা পানির ধান চাষের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ছাড়া কোনভাবেই দিবোনা। কারণ এ জমির ধান-মাছের আয় দিয়ে আমাদের পরিবারের খাওয়া-পরা ও ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা ও চিকিৎসাসহ সকল কাজ চলে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, পার্শ্ববর্তী রামপাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা মিলি, সুশান্ত দাস ও অর্ধেন্দু শেখর বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা। বক্তারা এ ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সাংসদ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।উল্লেখ্য, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের ২৪কিলোমিটার নদীপথ খননের জন্য ২০২০সালে একনেকে ৯শ ৯২কোটি টাকার পশুন চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর ২০২২সালে এ চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭শ একর জমি হুকুম দখল করে সেখানে উত্তোলিত বালু ফেলা হয়। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নে ২শ৬২ একর জমি হুকুম দখল করা হলেও স্থানীয় জমির মালিকদের আন্দোলনের মুখে পড়ে সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় পর্যায়ে এসে এখন মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকায় ২শ ৬২একর জমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে এ জমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। এনিয়ে জমির মালিকদের সাথে সম্প্রতি বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বৈঠকও করছেন। বৈঠকে জমি হুকুম দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে অধিগ্রহণ করে নেয়ার দাবী জানিয়েছিলেন জমির মালিকেরা। কিন্তু জমির মালিকদের দাবী উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসন জমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া চালানোতে এর প্রতিবাদে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছেন জমির মালিকেরা।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল এন্ড হাইড্রলিক্স) ও পশুর চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্প’র (পিডি) প্রকল্প পরিচালক শেখ শওকত আলী বলেন, প্রথম ধাপে চিলা এলাকায় ৭শ একর জমি হুকুম দখল করে সেখানে বালু ফেলা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে বানীশান্তায় ৩শ একর জমি হুকুম দখল করা হলেও সেখানকার ২শ৬২ একর জমির হুকুম দখল বাতিল করে সরকার বিকল্প জায়গায় বালু ফেলার নির্দেশনা দেন। এরপর তৃতীয় ধাপে সানবান্ধা এলাকায় ২শ ৬২একর জমি হুকুম দখলের প্রক্রিয়া চলছে। এ জায়গা হুকুম দখল সম্পন্ন হলে চলতি সেপ্টেম্বর মাস কিংবা অক্টোবর মাসে বালু ফেলার কাজ শুরু করা যাবে। তবে এ জায়গাও না পাওয়া গেলে ড্রেজিং প্রকল্প হুমকির মুখে পড়বে। তাতে করে মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজের আগমন-নির্গমন, পণ্য আমদানী-রপ্তানীসহ দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি আরো বলেন, সরকারের চলমান প্রকল্প বাঁধাগ্রস্ত করতে এক শ্রেণীর মানুষ আন্দোলনের নাম করে বিরোধীতা করছেন। তিনি আরো বলেন, এ ড্রেজিং প্রকল্পের মাত্র ৩০ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, মুলত জায়গার সংকটের কারণেই বাকী কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকার সৃষ্টি হয়েছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page