২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে রূপান্তর আমাদের প্রাণের দাবি — শাহজাহান চৌধুরী  তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে: বেবিচক চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিরাপদ সড়ক দিবসে সুনামগঞ্জের ডিসি ডোপ টেস্ট ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স- ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বাগাতিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান, তিনজনের জেল-জরিমানা নাটোরে বিশেষ অভিযানে সর্বহারা নেতাসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা–কর্মী গ্রেফতার পাটগ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাস মিডিয়া ক্যাম্পেইন রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং কিশোরগঞ্জে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত
  • প্রচ্ছদ
  • খুলনা >> জাতীয় >> দেশজুড়ে >> বাগেরহাট >> সোস্যাল মিডিয়া
  • আজ মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল হানাদার মুক্ত দিবস
  • আজ মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল হানাদার মুক্ত দিবস

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    এম ইদ্রিস ইমন,মোংলা (বাগেরহাট):

    আজ ৭ ডিসেম্বর; মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শত্রুমুক্ত করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় দিশা হারিয়ে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীরা মোংলা ও সুন্দরবন ছাড়তে শুরু করে।মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বর্তমান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে ৭ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন এলাকা সম্পূর্ণভাবে শত্রু মুক্ত হয়।তিনি বলেন, তখন সুন্দরবনে স্থাপিত ৫টি ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হতো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সেখান থেকে সুবিধা মতোই আক্রমণ চালাতেন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, শরণখোলা ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাকবাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে। এ ছাড়া ওই সময়ে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে থাকা পাক-হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এম ভি মাকরনও ধ্বংস করা হয়।দীর্ঘকাল পরে হলেও মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর পার্ক এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি যুদ্ধ জাহাজ সংবলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ ও আরেকটি বিজয় স্তম্ভ।

    ওই সময়ে পাক হানাদাররা নৃশংস গণহত্যা চালায় এ এলাকার নিরীহ মানুষের উপর। এখনো সেই গণহত্যার স্মৃতি বহন করছে মোংলার দামেরখন্ড ও রামপালের ডাকরার বধ্যভূমি।বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান আরও বলেন, আমরা যারা ৯ম সেক্টরের অধীনে ছিলাম তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ। মেজর জিয়া, মুক্তিবাহিনী ও নৌ কমান্ডের ত্রিমাত্রিক আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। এখানে ওই সময় উপরে পাক সামরিক বাহিনী ও নদীতে নৌঘাঁটিতে অবস্থান ছিল তাদের। পশুর নদীতে পাকবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ মাকরনে মাইন বসিয়ে তা ডুবিয়ে দেয় মুক্তি নৌ-কমান্ডের সদস্যরা। এর মধ্য দিয়েই ৭ ডিসেম্বর পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয় মোংলা ও সুন্দরবন।তখন সারা দেশ পাকবাহিনী মুক্ত না হলেও ১৬ ডিসেম্বরের আগেই আমরা এ এলাকা শক্র মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page