১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জে শিশু শ্রম ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সমাবেশ ও ৩৫৩০ জন শিশুর মাঝে ব্যাগ-কলম বিতরণ গভীর রাতে গরিব অসহায় শীতার্তদের মাঝে চট্টগ্রাম ডিসির কম্বল বিতরন সীতাকুণ্ডে ডাকাত সর্দার গ্রেপ্তার মহেশখালীতে হত্যা,অস্ত্রসহ ১২ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার তানোরে শহীদ মিনারে জুতাপায়ে মাদরাসা সুপার! লোহাগড়া কৃষি অফিসে বিভিন্ন তথ্য পেতে সাংবাদিকদের ভোগান্তি তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলু চাষীদের আন্দোলন সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলদের স্থগিত হওয়া সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত গোদাগাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মন্টুকে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন টেকনাফে ২ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, মিয়ানমারে পালালো পাচারকারী
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • অর্থনীতি >> কক্সবাজার >> চট্টগ্রাম >> জাতীয় >> দেশজুড়ে
  • হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে বনবিভাগের সহায়তায় উঠছে দালান-কোঠা, বিপর্যস্ত পরিবেশ
  • হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানে বনবিভাগের সহায়তায় উঠছে দালান-কোঠা, বিপর্যস্ত পরিবেশ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিজস্ব প্রতিবেদক >>> বনের রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করতেছেন হিমছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাগণ। অভিযোগ পাওয়া গেছে এই কাজের সঙ্গে জড়িত ফরেস্টার থেকে নিরাপত্তা রক্ষীরাও। আর এতে করে হিমছড়ি ও পেঁচার দ্বীপ এলাকাটি পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে যাচ্ছে।

    অভিযোগ রয়েছে, বন টহল ফাঁড়ির ফরেস্টার মো. কামরুজ্জামান শোভন ও মো. তানভীর আলম, এফজি নাজমুল হাছান ও বাগান মালি মো. সোহেল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে হিমছড়ি উদ্যানের গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত।সামান্য টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে এই অমূল্য সম্পদ। সেইসঙ্গে গাছ কেটে জমি ফাঁকা করে অর্থের বিনিময়ে সেই জমিতে অবৈধভাবে মানুষের বসতি গড়ে তোলার অনুমতি দিচ্ছে। বনের জমির ভেতর পাকা দালানের অনুমতি না থাকলেও বনবিভাগের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হচ্ছে ঘর-বাড়ি ও পাকা দালান।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জঙ্গল গোয়ালিয়া পালং বিএস ২ নং খতিয়ানের বিএস ১৯ নং দাগের শ্রেণী পাহাড় রির্জাভ ফরেস্টের জমিতে দক্ষিণ পেঁচারদ্বীপ গ্ৰামের হেডম্যান হিসেবে কর্মরত সাগর আলি বিল্ডিং তৈরি করেছেন। সেই বিল্ডিং-এ তিনি বাসা ভাড়া দিয়েছেন। অন্যদিকে জঙ্গল ধোয়া পালং মৌজায় বিএস ২ নং খতিয়ানের বিএস, ২১ নং দাগে শ্রেনী পাহাড়ে মোঃ হাসেমের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন। হারুন গং দুই তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং তৈরি করেছেন। হুমায়ন নামে একজনের মালিকানা ৫ তলা একটি রিসোর্ট রয়েছে। এই রিসোর্ট থেকে আয় হচ্ছে লাখো কোটি টাকা। মেরিন ড্রাইভ রোডের পূর্ব পাশে জঙ্গল খুনিয়া পালং মোজার বিএস ২ নং খতিয়ানের শ্রেণী পাহাড় রির্জাভ ফরেস্টের বিএস ৪৩ নং দাগে বিল্ডিং নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া দেওয়া হয়েছে।হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন রক্ষকরাই বনের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এভাবে গাছ কাটা অব্যাহত থাকলে ওই এালাকর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ইকো সিস্টেম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানান, রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। এফজি নাজমুল হাছান ও বাগান মালি মো. সোহেল আহমেদ সরাসরি জড়িত এই কাজে। তারা কাজ করেন ফরেস্টার মো. কামরুজ্জামান শোভন ও মো. তানভীর আলমের নির্দেশে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরেস্টার মো. কামরুজ্জামান শোভন বলেন, আমি হিমছড়ি বিটের দায়িত্বে আছি। এগুলো আমার এলাকায় পড়েনি। এটা খুনিয়াপালং বিটে পড়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।খুনিয়াপালং বিটের ফরেস্টার মো. তানভীর আলমের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়গুলো নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা বন রক্ষা না করে ভক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত। বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব কুকর্মের সাথে জড়িত। বন বিভাগের গাফেলতির কারণে কক্সবাজারের বনভূমি দিনদিন কমে যাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সচেতন না। তারা কিভাবে বনের জমি এবং গাছ বিক্রি করে নগদ টাকা কামানো যায় এগুলো নিয়ে ব্যস্ত। এদের উপর রাষ্ট্র, এডমিনিস্ট্রেশন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page