মীর জাহেদ,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি >>> রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লোকন বিশ্বাসকে স্যার না বলে মামা বলায় অপদস্ত হলেন এক কৃষক। শুধু তাই নয় ওই কৃষকের সাথে খুব খারাপ আচরণও করেন তিনি। বলেন, ‘মামা’ তো ‘রিকসাওয়ালা’ ‘টলিওয়ালা’কে ডাকে মানুষ,আমাকে ‘স্যার’ ডাকবেন।শনিবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে এই বিব্রতকর ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১২ টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিসে নারিকেলের বীজ আনতে যান পোমরা ইউনিয়নের কৃষক মো. মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরে বিদ্যুৎ না থাকায় তিনি কৃষি কার্ড ফটোকপি করতে উপ- সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসের কাছে যান। এ সময় লোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ বলে ডাকায় ক্ষেপে যান তিনি, এবং গালমন্দসহ খুব খারাপ আচরণ শুরু করেন। পরে অফিসের অন্যান্য স্টাফদের সহযোগিতায় কৃষক রক্ষা পান।সাথে সাথে এ ঘটনায় কৃষক মো. মঈন উদ্দিন, বাদী হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পোমরা গোমস্তার পাড়ার কৃষক মো. মঈন উদ্দিনকে স্থানীয় উপ সহকারী কৃষি অফিসার দিলুয়ারা বেগম টেলিফোনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নারিকেল চারা নেওয়ার জন্য অফিসে আসতে বলেন। কৃষক মঈন উদ্দিন শনিবার সকাল এগারোটায় উপজেলা কৃষি অফিসে উপস্থিত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি অফিসার লোকন বিশ্বাসকে মামা সম্বোধন করে এক কপি কৃষি কার্ড ফটোকপি করার অনুরোধ করেন কৃষক মঈন উদ্দিন। এসময় বাইরের দোকানে বিদ্যুৎ ছিলনা তাই তিনি এই অনুরোধটুকু করেছিলেন।
কৃষক মঈন উদ্দিন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাসকে ‘মামা’ সম্ভোধন করায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন, এবং আমাকে মারতে উদ্ধত হয়। পরে উপস্থিত অন্যান্য স্টাফ ও কৃষকরা এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রোকন বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাকে বলেছি, ‘আমাকে ‘মামা’ না ডাকতে। ‘মামা’ ডাকে কেবল ‘রিক্সাওয়ালা’ ও ‘ভ্যান চালক’কে। আমি তাকে গালাগাল করিনি।’রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘একজন কৃষককে অপদস্ত করার একটি অভিযোগ পেয়েছি। আসলে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তার এই আচরণ করা উচিৎ হয়নি। বিষয়টি আমি দেখছি।’
মন্তব্য