আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।ঠান্ডা আর শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা সেচ, হালচাষ,বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন এবং রোপণের কাজ করছে কৃষকরা।এদিকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক।বৃদ্ধি পেয়েছে শ্রমিকের মজুরি।সবমিলিয়ে বোরো চাষে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা।তারপরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন।বীজ জমির মাঠ তৈরির পর থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে চারার কোনো ক্ষতি হয়নি। দ্রুত সময়ে সার ও বীজ পাওয়ায় কৃষকদের কোন ভোগান্তিতে পোহাতে হয়নি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ায় সেচের পানি নিয়েও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।এর ফলে বোরো চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে কৃষি কাজে।কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে বোরো চাষ হবে বলেও জানান তারা।সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রের জানা গেছে।এবারে ৭ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এরমধ্যে উফশী জাতের ৩ হাজার ৯ শত ৫০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৩ হাজার ৩ শত হেক্টর।এবারে চরতিতে ৫ শত ৯৩ হেক্টর, খাগরিয়ায় ১ শত ২৫,নলুয়ায় ৭ শত ৪০, কাঞ্চনায় ৬ শত ৫,আমিলাইষে ২ শত ৫, এওচিয়ায় ৩ শত ৬, মাদার্শায় ২ শত ৬০,ঢেমশায় ২ শত ৭,পশ্চিম ঢেমশায় ১ শত ৫৫, কেঁওচিয়ায় ৫ শত ৫৫,কালিয়াইশে ৩ শত ৭০,ধর্মপুরে ৪ শত ৪৫, বাজালিয়ায় ৩ শত ৮৫,পুরানগড়ে ৭ শত ১০,ছদাহায় ২ শত ২৩, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নে ৩ শত ৭০, সোনাকানিয়ায় ৪ শত ৭০ ও পৌরসভায় ৫ শত ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।হলোয়াগোনা এলালাকার কৃষক নুরুল ইসলাম,বিগত মৌসুমে বন্যা, পোকার আক্রমণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমনের ভালো ফলন পেয়েছি।তাই বোরো মৌসুমে এবার ৩ কানি জমিতে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।এখন বীজতলার চারা রোপণের উপযুক্ত হয়েছে।তবে কৃষি অফিস থেকে যথাসময়েই আমাদের বোরো চাষ পরিদর্শন করলে হয়তো আমরা আরো দিয়ে যেতে পারবো।ওয়াহিদার পাড়া গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন।চাষের উপযোগী করা হচ্ছে জমি।এবারে ১ কানি জমিতে বোরো ধান চাষ করবো।কৃষি অফিসের পরামর্শে কুয়াশায় যাতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,সেজন্য কাজ করছি। উন্নত জাতের বীজের আবাদ হওয়ায় এবার বোরোর ফলন হেক্টর প্রতি ৬-৭ টন হতে পারে।সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান বলেন,এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭৩৯৫ হেক্টর।গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪৮৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।আশা করা যাচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা এর চেয়ে বেশি আবাদ হবে এবার।কারণ কৃষকরা যথাসময়ে বীজ পেয়েছে।বীজতলা তৈরির পর থেকে আবহাওয়াও ভালো ছিল।ফলে বীজতলার কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি।বোরো চাষে কৃষকদের উৎসাহ জোগাতে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।এছাড়া বীজতলা তৈরি থেকে চারা রোপণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।
মন্তব্য