এম ইদ্রিস ইমন,মোংলা (বাগেরহাট):
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলের ভেতরে হত্যা করা হয় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে তারাই জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২০০১ সালের ২১ আগস্ট। তিনটি দিনই একই সুত্রে গাঁথা। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের বিভিন্ন সময়ে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান রুপে তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজকে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবারো বাংলাদেশের রাস্ট্র ক্ষমতায় আনতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলী’র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী ইজারাদার।মোংলা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টানে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বাবু সুনিল কুমার বিশ্বাস’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: ইস্রাফিল হাওলাদার, পৌর আ’লীগের সংগঠনিক সম্পাদক কাজী গোলাম হোসেন বাবলু, মিঠাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার, উপজেলা কৃষকলীক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন (রানা) সহ অন্যান্যরা। এ সময় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
শেষে নিহতের বিদেহী আত্মার, মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্টিত হয়।
মন্তব্য