১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • বাঁকখালী নদী দখলদস্যুর কবল থেকে উদ্ধার করা হবে-পরিস্থিতি দেখে হতবাক দুই উপদেষ্টা
  • বাঁকখালী নদী দখলদস্যুর কবল থেকে উদ্ধার করা হবে-পরিস্থিতি দেখে হতবাক দুই উপদেষ্টা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    শ.ম.গফুর >>> জেলা শহরের প্রধান নদী বাঁকখালী এখন দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। শহরের ময়লা–আবর্জনা ফেলে নদীর তলদেশ ভরাট চলছে। নদীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনা নদীর পরিস্থিতি অবলোকন করে হতবাক হয়েছে সরকারের দুই উপদেষ্টা।বৃহস্পতিবার(২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটসহ বিভিন্ন অংশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে এমন পরিস্থিতি দেখে হতবাক নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।এদিন কস্তুরাঘাটে পৌঁছে দুই উপদেষ্টা বাঁকখালী নদীর সীমানা সংলগ্ন মানচিত্র দেখেন। পরে  কক্সবাজার পৌরসভার ময়লার স্তুপ, নদীর দখল দেখে দুই উপদেষ্টা যান পেশকার পাড়ার অংশে। সেখানে এখনও জোয়ার-ভাটার পানি আছে এবং ট্রলার ভিড়ে এমন স্থান দখলের দৃশ্য দেখে হতবাক হন দুইজন। কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে।এসময় নদীর তীর দখলমুক্ত হবে জানিয়ে নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি বন্দর করবো, বাকিরা দখল করবে তা হয় না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। নদীর নির্ধারিত সীমানা রয়েছে। যা গেজেট আকারে আছে। এর মধ্যে যারা দখল করে আছে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্ছেদ করা হবে। অনেক বছর ধরে এই দখল প্রক্রিয়া। নদী বন্দর করতে হলে নদী দরকার। নদীর তীর দখল উচ্ছেদ দ্রুত হবে। সরে যেতে আর সময় দেয়া হবে না। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,  কক্সবাজার থেকে অনুমানিক ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে বনবিভাগকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা তথাকথিত উন্নয়ন এবং ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছিল।কক্সবাজারের কয়েকটি কাজ আমরা অগ্রাধিকার হিসেবে ধরেছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, কক্সবাজারের ৭ শত একরের একটা বন প্রশাসনকে,  ১৫৫ একর বনের জায়গা নিয়ে একজন ব্যক্তির নামে স্থাপনা হচ্ছে। ২০ একর জমিতে ফুটবল ট্রেনিং সেন্টার হওয়া কথা ছিল। বেজাকে দিয়ে দিয়ে চিংড়ি ঘের করা জায়গা। সব নিয়ে নেয়া হবে।কক্সবাজারের মানুষের অনেক দিনের দাবি বাঁকখালীকে দখল ও দূষণ মুক্ত করার এমন মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, আগে যখন পরিবেশ কর্মী ছিলাম এসেছিলাম। এখন এসেছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলদের সাথে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে আইন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, হাইকোর্ট থেকে স্থিতি অবস্থা নিয়ে আছে হয়েছে। এসব আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পাশে যেখানে নির্মাণ কাজ চলছে তা জানিয়ে তিনি বলেন, তার যদি লাগাম টেনে ধরা না হয় তবে সাধারণ মানুষের সি বিচ ব্যক্তির সি বিচ বা প্রতিষ্ঠানের সি বিচ হয়ে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবে না।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পরিবেশ সংকটাপন্ন ইসিএ এলাকায় কার প্রতিষ্ঠান আছে তা আমার দেখার বিষয় না। আমার কাজ ইসিএ এলাকায় অনুমোদন ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান আছে কিনা তা দেখা। অনুমোদন ছাড়া যার প্রতিষ্ঠান থাকবে তা উচ্ছেদ করা হবে।খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫১ একর উচ্ছেদ করা হবে বলেও মন্তব্য করে তিনি।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page