এম জালাল উদ্দিন,পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি >>> সড়কে ধ্বস, জোয়ারের পানির চাপে বিচ্ছিন্ন হতে পারে কক্সবাজারের পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রীজ হতে উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রূপাই খাল ও সোনালী বাজার স্লুইসগেইটসহ ৪ অংশে ধ্বসে গেছে। যেকোন মূহুর্তে জোয়ারের পানি ও অবিরাম বর্ষণে ভেঙে যেতে পারে। ভরাতিঁতিতে সাগরে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির কারণে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি আপাততঃ একটু কমলেও শংকায় ফেলেছে ঈদ যাত্রায়। ধারিয়াখালি, রূপাই খাল ও সোনালী বাজার ৬৪ নং স্লুইসগেইট অংশের সড়কে দুই চেইন ও তিন চেইনের অন্তর প্রায় ৫০ মিটার,৩০ মিটার, ২০ ও ৪০ মিটার স্থান রয়েছে চরম ঝুঁকিতে । স্লুইস গেইট ও সড়কের ধ্বসে যাওয়া অংশ সংষ্কার করা না হলে কৃষক, লবণ ও মৎস্যচাষীরা বেকার হয়ে পড়বে এমনকি সামনে কোরবানির ঈদ যাতায়তে সাধারণ মানুষেরা পড়বে চরম বিপাকে।গত কিছুদিন আগে চরম ঝুঁকিতে থাকা অংশের রূপাইখালের সামনের অংশটি উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্ধে ও মগনামার বি এন পি নেতা তৌহিদুল আলমের ব্যক্তিগত সহায়তায় ইট বসিয়ে সড়কে যান চলাচলালের উপযোগী করেন। তবে বিগত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে ও ভরাতিঁতিতে জোয়ারের পানি উপচে পড়ায় সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ আরো ধ্বসে যাওয়ায় বিপদজনক অবস্থায় চলাচল করছে যানবাহন ।আজ সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রুপাইখাল ও কাটাফাঁড়ি খালের মধ্য দিয়ে করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়ক। জোয়ারের সময় খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপচে পড়ায় এবং গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে আরো ধ্বসে পড়ে চরম ঝুঁকিতে পতিত সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। যেকোন সময় বিলীন হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। ফলে তলিয়ে যেতে পারে ধারিয়াখালী,মঠকাভাঙ্গাসহ উজানটিয়া-মগনামার বেশ কয়েকটি গ্রাম।প্রবাসী ও সমাজকর্মী তওহিদুল ইসলাম বলেন, দুই ইউনিয়নের জনবহুল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ধারিয়াখালী,রূপাই খাল ও সোনালী বাজার ৬৪ নং স্লুইস গেইট ঘূর্ণিঝড় “মখার” তান্ডবে ধ্বসে গিয়েছিল। গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও সাগরে ভরাতিঁতিতে জোয়ারের পানি উপচে পড়ায় সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ আরো ধ্বসে গিয়ে চরম বিপর্যয়ে পতিত হয়েছে এটি দ্রুত সংষ্কার করা না হলে এবার ঈদ যাত্রায় দূর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষ এবং কৃষি ও মৎস্য চাষ পড়বে অনিশ্চিয়তায়।স্থানীয় বি এন পি নেতা তৌহিদুল আলম বলেন,রূপাই খাল,ধারিয়াখালী খাল ও সোনালী বাজার অংশে টেকসই কালভার্ট না থাকার ধরুণ সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ধ্বসে যায়। ধ্বসে যাওয়া রূপাইখালের সামনের অংশে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া অংশটি উপজেলা প্রশাসনের বরাদ্ধে এবং আমার ব্যক্তিগত অর্থে আপাততঃ যানবাহন চলাচল উপযোগী করে দিয়েছি। গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে দক্ষিণ পাশের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি আরো ধ্বসে পড়ে বিপদজনক হয়ে পড়েছে সড়ক । চেষ্টায় আছি বৃষ্টি থামা মাত্রই নিজ অর্থায়নে আপাততঃ যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার। আমরা মগনামবাসী বলতে চাই অতিদ্রুত এ চার অংশে টেকসই কালভার্ট কিংবা স্লুইসগেইট নির্মাণ করা হউক দ্রুত সময়ে।উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল জি ই ডি)’র প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কালভার্ট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আপাততঃ পানি আটকানোর জন্য সড়কের দুপাশে প্রতিরোধকের ব্যবস্থা করতে হবে।কক্সবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ দত্ত বলেন, পেকুয়ার মগনামা সোনালী বাজার সংলগ্ন ৬৪ নং স্লুইসগেইটটি পরিদর্শন করে এসেছি। মাঝখানে ভেঙ্গে গেছে। নতুনভাবে স্লুইস গেইট নির্মাণ করতে হবে এবং এর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানে হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে অচিরেই নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকা অংশটি উপজেলা প্রশাসনের ১% বরাদ্ধ থেকে অর্থ দিয়ে সংষ্কার করে আপাততঃ যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করি। কিন্তু গত কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও ভরাতিঁতিতে জোয়ার পানি উপচে পড়ায় অপর ঝুঁকিতে থাকা অংশটি আরো ধ্বসে পড়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। ডিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সংষ্কারের উদ্যোগ নেবো।
মন্তব্য