গোলাম আজম,রংপুর প্রতিনিধিঃ>>>

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩-রংপুর ৫ মিঠাপুকুর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মিঠাপুকুরের কম্পিউটারম্যান খ্যাত জননেতা জাকির হোসেন সরকার জনপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে রয়েছেন।তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিরতিহীন গণসংযোগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচি হাজার হাজার জনগণকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে উদযাপন করে যাচ্ছেন।মিঠাপুকুরবাসী স্বপ্ন দেখছেন,আগামী সংসদ নির্বাচনে জননেতা জাকির হোসেন সরকার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,মুক্তিযুদ্ধকালীন মিঠাপুকুর থানা সংগ্রাম কমিটির সদস্য।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার অন্যতম সদস্য(১৯৫৩-১৯৭৮)এবং মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি (১৯৭৮-১৯৮৫) মরহুম আব্দুল হাকিমের ঘরে জন্ম নেওয়া মিঠাপুকুরের সুপারম্যান খ্যাত,জাকির হোসেন সরকার পড়াশুনা শেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক (১৯৮৫-১৯৮৬) পদের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় (১৯৭৬-১৯৮০)মিঠাপুকুর উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যতম সদস্য এবং (১৯৮০-১৯৮৩)সাল পর্যন্ত মিঠাপুকুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে আসীন ছিলেন। তুখোড় বক্তব্যের মাধ্যমে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মিঠাপুকুরের ৩১০টি গ্রামের লক্ষ লক্ষ জনতার মন জয় করে গণমানুষের নেতায় পরিণত হন।১৯৮৬ সাল থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রংপুর জেলা শাখার অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এছাড়াও তিনি (১৯৮৬-২০২২)ইং পর্যন্ত প্রায় ৩৬ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে থাকাকালীন স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান,স্বৈরাচার এরশাদ,খালেদা জিয়া,জামাত-বিএনপি দ্বারা অসংখ্য মামলার আসামি হনএমনকি(১৯৮৭-১৯৮৮) সালে জেলও খাটেন।ডায়নামিক এই নেতা,চার চারবার বি,আর,ডি,বি(মিঠাপুকুর) এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও তিনি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থনে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা নিয়ে ইতিহাস গড়ে ১৪৮ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৬ টি ভোটকেন্দ্রে বিজয়ী হয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সদা হাস্য উজ্জ্বল,বিনয়ী নম্র-ভদ্র,সদালাপি এই জননেতা দিন রাত ২৪ ঘন্টা সাধারণ মানুষকে সময় দিয়েও এই ত্যাগী নেতা ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।একই বছর ১২ ই জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। এভাবেই ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।একই বছরের ৫ই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।এভাবেই ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর এবং ২০০৮ সালের ২৯ শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।
নির্লোভী জাকির হোসেন সরকার জীবন যৌবনের মূল্যবান সময় দিয়ে মিঠাপুকুরের সাধারণ মানুষের বিভিন্ন বিপদ-আপদে পাশে থেকেছেন।গণ মানুষের এই নেতা প্রার্থিতা ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে মিঠাপুকুর উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়।
১৭টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের বৃহত্তর এই উপজেলার অনেক সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে,জাকির হোসেন সরকার অন্য সব সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় ৯০ ভাগ এগিয়ে রয়েছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে,দলমত নির্বিশেষে তাকে সবাই ভোট প্রদান করবেন এবং তিনি বিজয়ী হবেন।আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক জরিপের মাধ্যমে রংপুর ৫ মিঠাপুকুর আসনে মনোনয়ন দিলে, নিশ্চিতভাবেই,জাকির হোসেন সরকারের বিকল্প নেই বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, জননেতা জাকির হোসেন সরকার আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ।এ আসনে তার বিকল্প নেই।তিনি এমপি নির্বাচিত হলে, কোন দুর্নীতি,স্বজন প্রীতি, টিআর,কাবিখা বিক্রি ও নিয়োগ বাণিজ্য করবেন না বলে আমাদের বিশ্বাস। আশা করি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা, গণমানুষের নেতা জাকির হোসেন সরকারের সততার মূল্যায়ন করবেন।