সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি >>> বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুই দিনের হঠাৎ টানা ভারী বর্ষনের কারনে বন্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আমন ধানের পাকা গাছ নুয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। একই সাথে শীত কালীন আগাম শাক-সবজি সহ বিভিন্ন রবিশস্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরে তোলার ঠিক আগে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক আমন খেতের পাকা ও আধা-পাকা ধানগাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এতে ফলন হ্রাসের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়াও, শীতকালীন আগাম শাক-সবজির খেতও ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। ঝড়ো বৃষ্টির পর অনেক এলাকায় আমন খেতের পচন ও পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ও শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণ হয়েছে। যার কারনে ঘরবন্দী হয়ে পড়ে জনসাধারণ। টানা বৃষ্টির কারনে উজান থেকে
আসা পানির ঢলে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট পুকুর খালে
পানি ঢুকে পড়েছে। তানোর উপজেলার
কামারগাঁ, চাঁন্দুড়িয়া পাঁচন্দর ও কলমা ইউনিয়ন
এবং তানোর পৌরসভায় রোপা আমন ধান ডুবে
গেছে, ডুবতেই আছে। একারনে হতাশায়
কপালে ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের। সরেজমিনে
উপজেলার বিভিন্ন আমনের মাঠ ঘুরে দেখা
গেছে এমন দৃশ্য। সোনালী রঙে পাক ধরা
মাঠজুড়ে একরের পর একর রোপা আমন ধান
হঠাৎ দুই দিনের ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির
কারণে মাজা ভেঙে জমিতে পড়ে রয়েছে। কমার
গাঁ ইউনিয়নের বাতাস পুর গ্রামের কৃষক
সামাদ, এবারত, বাদল, সাদেক আলী বলেন, দুই
দিনের ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পানিতে তাদের
মাঠের সবার ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। দ্রুত
পানি নিষ্কাসন করা নাহলে ধানের চরম ক্ষতি হবে। তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের
নিষান বলেন, আমন ধানের জমিতে যে পরিমাণ
পানি ঢুকে আছে তাতে দ্রুত নিষ্কাসন নাহলে
ধানে গাছ গজিয়ে উঠবে। এতে করে কৃষকরা
চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। শুধু তাই না
উজান থেকে নামতেই আছে পানির স্রোত।
যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই থইথই করছে
পানি। প্রতিটি ব্রিজের মুখ দিয়ে নামতেই আছে
স্রোত। জানা গেছে, এবছর রোপা আমন
রোপণের সময় থেকে প্রচুর বৃষ্টির পানির দেখা
ছিল আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র আশ্বিন মাসেও এত
পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা অন্যকোন বছর দেখা
যায়নি। এখনো মাঝেমধ্যে অব্যাহত রয়েছে
ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দেখা। কৃষকরা
বলেন, শনিবার সকালে বৃষ্টি থামলেও আকাশে
প্রচণ্ড মেঘ। হয়তো রাত থেকেই আবার শুরু
হবে পানি। যে পরিমাণ পানি হয়েছে বছরের
মধ্যে এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। নিচের হবে। তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের
নিষান বলেন, আমন ধানের জমিতে যে পরিমাণ
পানি ঢুকে আছে তাতে দ্রুত নিষ্কাসন নাহলে
ধানে গাছ গজিয়ে উঠবে। এতে করে কৃষকরা
চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। শুধু তাই না
উজান থেকে নামতেই আছে পানির স্রোত।
যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই থইথই করছে
পানি। প্রতিটি ব্রিজের মুখ দিয়ে নামতেই আছে
স্রোত। জানা গেছে, এবছর রোপা আমন
রোপণের সময় থেকে প্রচুর বৃষ্টির পানির দেখা
ছিল আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র আশ্বিন মাসেও এত
পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা অন্যকোন বছর দেখা
যায়নি। এখনো মাঝেমধ্যে অব্যাহত রয়েছে
ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির দেখা। কৃষকরা
বলেন, শনিবার সকালে বৃষ্টি থামলেও আকাশে
প্রচণ্ড মেঘ। হয়তো রাত থেকেই আবার শুরু
হবে পানি। যে পরিমাণ পানি হয়েছে বছরের
মধ্যে এত পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। নিচের জমিগুলো ডুবে যাবে। রোপা আমনের মারাত্মক
ক্ষতি সাধন হবে যা আমাদের সর্বনাশ। শুধু
রোপা আমনের ক্ষতি না পুকুরের মাছ বের
হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। টানা বৃষ্টির কারনে
সবজি খেতও ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষি অফিস
সূত্রে জানা যায়, কামারগাঁ ব্লকের ৩০ হেক্টর,
মাদারিপুর ৮ হেক্টর, ছাঐড় ১৪ হেক্টর, কৃষ্ণপুর
৫ হেক্টর ও পাঁচন্দর ব্লকের মোহাম্মদ পুর ৭
হেক্টর, চাঁদপুর ১০ হেক্টর এবং চান্দুড়িয়া ব্লকের
চান্দুড়িয়া ১৫ হেক্টর সিলিমপুর ৫ হেক্টর।
তানোর পৌরসভায় ১১০ হেক্টর। সব মিলে
২০৩ হেক্টর রোপা আমন ধান ডুবেছে এর মধ্যে
আংশিক ১৫৭ হেক্টর ও পুরোপুরি ডুবেছে ৪৬
ইউপির হেক্টর। তবে কলমা আজিজপুর, চন্দনকোঠা, কুজিশহর সহ ওই
ইউপির ধান ডুবার কোন তথ্য দিতে পারেন নি
কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, উপজেলায় রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে। তবে ধান ডুবেছে পুরোপুরি ভাবে ৪৬ হেক্টর এবং আংশিক ডুবছে ১৫৭ হেক্টর জমি। অবশ্য বৃষ্টির পানি একেবারে থেমে গেলে এর সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে। যে সব জমি ডুবেছে এবং পানি ঢুকেছে সে সব জমি থেকে তিন চার দিনের মধ্যে পানি বের হলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় পার হলে ধান হবে না।











মন্তব্য