আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ >>> চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেইন আন্দোলন সাতকানিয়া কমিটির উদ্যোগ,চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে,সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে হাজিয় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মাহমুদুল হাসান এর হাতে,এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো। অবিলম্বে মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নতি করা হোক। দুর্ঘটনাপ্রবণ মোড়ে ফ্লাইওভার ও সেতু নির্মাণ করা হোক।
নিয়মিত রোড মেইনটেন্যান্স ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে,আধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হোক।লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার কে জরিমানা করা হোক। অনিয়ন্ত্রিত ফিটনেসবিহীন বাস এবং মিনিবাস গুলোকে জব্দ করে জরিমানা করা হোক।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেইন আন্দোলন সাতকানিয়া কমিটির -জাকের হোসেন রাব্বি বলেন-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতি দ্রুত সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছে।
কমিটির মিনহাজ উদ্দীন বলেন,দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির কারণে সড়কের কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। একেকটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার দুই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির পর চুনতির জাঙ্গালিয়ায় সড়কের ওপর স্পিড ব্রেকার ও দুই ইট বসিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা লোকদেখানো এমন কাজ দেখতে চাই না। বাস্তবিক অর্থে সড়কটিতে ছয় লেন দেখতে চাই। এ জন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না করে দ্রুত কাজ দেখতে চাই।
শহিদুল ইসলাম বলেন- জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ঢালু ও আঁকাবাঁকা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পর্যটকেরা রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত থাকেন না। রাতের বেলা লবণের গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে রাস্তাটা মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো যুক্তিতে এটা দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়া উচিত ছিল। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আমরা যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সাতকানিয়ার সর্বসাধারণের পক্ষে
স্মারকলিপি প্রধান কালে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেইন আন্দোলন কমিটি সাতকানিয়া উপজেলা কমিটির-জাকের হোসেন রাব্বি,শহিদুল ইসলাম,মো: মিনহাজ উদ্দীন,মো: তামিম উদ্দিন চৌধুরী,মো: সাইফুল ইসলাম সাঈফী,মো: আবদুল্লাহ সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার,(ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান,চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেইন আন্দোলন সাতকানিয়া কমিটির লিখিত স্মারকলিপি পেয়েছি,তা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।











মন্তব্য