আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি >>> আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শিশুদের পছন্দের নানা রং বাহারি খেলনা বেলুন নিয়ে শহরের মোড়ে মেড়ে ভ্রাম্যমান ফেরিওয়ালাদের আনা-গোনায় মুখর হয়ে উঠছে। হরেক রংয়ে রাঙানো মাছ-তিমি মাছ,হাতি-ঘোড়া বেলুন সূতােয় বাঁধা নাটাই হাতের মুঠোয় ঝিলমিল করে উড়ছে। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য শহরে আগন্তুক নানা শ্রেণি পেশার মানুষের নজর কাড়ছে। পাশাপাশি ব্যস্ততম যান্ত্রিক শহর বর্ণিল হয়ে উঠেছে । শিশু-কিশোরের নজরে এলে তা কেনার বায়না ধরছেন পিতা-মাতার কাছে। আর আদরের সোনামণিদের বায়না মিটাতে কুন্ঠাবোধ করছেনা পিতা-মাতারাও। এরই মাঝে অনেকেই বিনোদনের জন্য বাড়ির সোনামনিদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছন। সোমবার (২মে) সকালে উপজেলা শহরে দেখা গেছে, ঈদ উৎসবে ভাল আয়-রোজগারের জন্য বিভিন্ন প্রান্তরের ভ্রাম্যমান খেলনার ফেরিওয়ালারা শিশু বিনোদনের রংবাহারি হরেক খেলনা এখানে নিয়ে এসে শহরের মোড়ে মোড়ে সূতোর নাঠাই হাতের মুঠোয় মৃদু বাতাসে উড়াচ্ছেন ঝাকে ঝাকে রঙিন বেলুন। এ সময় আরো দেখা গেছে,শহরের ঝর্ণার মোড়ে জলঢাকা থেকে আসা খেলনা ব্যবসায়ী মিরাজের হাতের মুঠোয় উড়াচ্ছেন চোখ ধাঁধানো হরেক রঙের ঝলমল করা রঙিন বেলুন। এ ঝলমল করা রঙিন ফানুষ আর রং বাহারি ঝর্ণাধারার নয়নাভিরাম নির্মাণ শৈলীর মেলবন্ধনে শহরময় যেন বর্ণিল হয়ে উঠেছে। মিরাজ বলেন, যেকোনো উৎসব পার্বণে জমে উঠে খেলনার ব্যবসা। তাই এ দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে থাকি। তাই আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে এখানে এসেছি। বিক্রিবাট্টাও ভাল হচ্ছে। প্রতিটি খেলনা বেলুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দরে। যা খরচ বাদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভের আশা করা হচ্ছে। অপর দিকে শহরের মুন্সি পাড়াস্থ পাবলিক কেজি স্কুলের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক জেরিন আক্তার বলেন, স্কুল থেকে ফেরার পথে আমার মেয়ে তাজনিমা আক্তার খেলনা বেলুন দেখে হাউ-মাউ করে জড়িয়ে ধরেন। এতে কিনে না দিয়ে উপায় কি। পরিশেষে ৬০ টাকা দিয়ে একটি মাছ বেলুন কিনে হাতে দিলে সে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন। কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু বলেন, ঈদ উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্তরের মৌসুমী খেলনার ব্যবসায়ীরা এখানে এসে শিশু বিনোদনের নানা খেলনা বিক্রি করে ভালো আয়-রোজগার করছেন। তারা শিশুদের মেধা বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা রাখছেন।
মন্তব্য