নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চট্টগ্রামের রাউজানে এক বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বিএনপির বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে অন্তর্কোন্দল চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সংঘটিত একাধিক হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত কয়েক মাসে রাউজান অঞ্চলে ডজন খানেক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মাত্র দুই দিন আগে চট্টগ্রাম এক্সেস রোডে একজনকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। এর আগে লিংক রোড এলাকায় ঘটে জোড়া হত্যাকাণ্ড। স্থানীয়রা জানান, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূলত বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের লড়াইই দায়ী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি আবারও সন্ত্রাস ও অস্ত্রবাজির রাজনীতিতে ফিরছে, যা অতীতের অরাজক সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের তৎপরতা যথেষ্ট নয়, ফলে দুষ্কৃতকারীরা আরও সাহসী হয়ে উঠছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)-এর সংগঠক মো. তহীদুল ইসলাম মাসুম এ বিষয়ে বলেন,
>সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্রবাজির রাজনীতি ফিরিয়ে এনেছে বিএনপি। এক নেতার বাড়ি থেকে ৯টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে -তাহলে সম্মিলিতভাবে কত অস্ত্র মজুত রয়েছে, তা ভাবতেও ভয় লাগে। বিএনপি যদি এভাবে অরাজকতা চালিয়ে যায়, তাহলে রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।”
তিনি আরও বলেন,রাজনীতি করতে হলে সভ্যতা, আদর্শ ও জনগণের কল্যাণের দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন। অস্ত্র ও খুনের রাজনীতি কখনোই টিকতে পারে না।”
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান বাড়িয়ে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। অন্যথায় রাউজানে সহিংসতার দাপটে সাধারণ মানুষ আরও ভীত হয়ে পড়বে।











মন্তব্য