কবি শাহাদাত হোসেন তালুকদার চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ >>> ফিলিস্তিনের মাহমুদ আব্বাস আপাতদৃষ্টিতে আরবের রাজাকার গণ্য হওয়ার বিষয়টা উড়িয়ে দেয়া যায়না,বৃদ্ধ মানুষ তিনি ভেবেছেন ইট পাটকেল হাতে এযাবৎ ফিলিস্তিনের কতই লাখো বীর পচাত্তর বছর ধরে শহীদ কারবালায় অগণিত প্রাণ ফিলিস্তিনের মাটিতে মিশেছে,কাজেই হতে পারে হামাসও তাঁদের মত স্বাধীনতাকামী ক্ষুদ্রাকার এক সংগঠন।
অথচ বাস্তবে দেখা গেলো দাম্ভিক ও চরম যুদ্ধবাজ রাষ্ট্র ইসরায়েল যেহেতু হামাসের শক্তি কি উহার বিশলতা বুঝতে সক্ষম হননি,সেখানে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্বাস আগুনের বিপরীতে বেশি কি ভাববেন ?
হামাসরা যে বিশ্ব বীর একথা দু’মাস আগেও জগতের কেউ বুঝার ছিলো না,আজ হামাস এর চেহেরা দেখে পৃথিবীর মানুষ অবাক, হামাস যুদ্ধারা সর্বকালের সেরা বিষ্ময়।
আজ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে ফিলিস্তিন,
ছিন্নবিচ্ছিন্ন শিশুটির দেহ বারুদের সাথে তুফানে উড়িয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য করেনি সন্ত্রাসী ইসরায়েলী গোষ্ঠী, অতীতের ইতিহাসে পৃথিবীর মানুষ কি বিদ্রোহ দেখেনি কিংবা যুদ্ধ করেননি ?
সাধারণত সৈনিকের সান্নিধ্যে মানুষ নিরাপদ বোধ করেন,সে জায়গায় ইসরায়েলি সৈনিকদের প্রাষন্ডতা ও নিকৃষ্টতম বর্বরতা মানুষ ঘৃণাভরে অবলোকন করেছে এই মানবতা হত্যার যুদ্ধে।
ইহুদিদের প্রাষন্ডতার কাছে হতবাক হতভম্ব মানবকূল, ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত প্রাষন্ডতার দৃশ্যে অন্তর যন্ত্রণায় অকাতরে মানুষ কেঁদেছে নিজের শিশুর চেহারার দৃশ্যপট চোখে রেখে।
এই যুদ্ধ নিয়ে মানুষের অন্তদৃষ্টি ও বিচার বিশ্লেষণে ইসরায়েলের আসন্ন এই পরাজয় হবে হাজার বছরের সর্ব নিকৃষ্ট পরাজয়ের গ্লানি,ধ্বংস ও নিচিহ্ন হতে চলেছে ইসরায়েল রাষ্ট্র,ইতিহাসে ইহুদীর স্থান হবে আস্তাকুঁড়ে ও চরম ঘৃণাভরে।
ইসরায়েল মার খাওয়ার প্রথম কারণ একত নারী সৈনিক,দ্বিতীয়ত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও তাদের পশুত্ব আচরণ।
মনে হয়েছে ইসরায়েলি যোদ্ধারা আদোও কোন ইউনিফর্ম সর্বস্ব নাটক সিনেমার সৈনিক।
কৌশলগত যোগ্যতায় তারা আদর্শ সৈনিক মোটেও নয় ইহা খুবই পরিস্কার।
সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা স্বদেশ মাটির জন্য মরণপনে মেধা মননে কৌশলী যুদ্ধে নির্দ্বিধায় অগ্রসরমান বীরযোদ্ধা,তারা অনন্ত যাতনার আগুনে জ্বলে পুড়ে বাঁচা-মরার সংগ্রামে কারবালা ময়দানে প্রাণ বিলিয়ে শহীদি জীবনই সর্বোত্তম ইহা ছিলো ফিলিস্তিনের বীরদের পবিত্র ও পরম অঙ্গীকার।
স্বাধীনতার জন্য এরচেয়ে বড়ো কোন শপথ আর থাকতে পারে না,কোন বীরের জাতির জন্য ইহা খুবই যথেষ্ট।
শত বছর ধরে রক্তের মহাসাগর পাড়ি দিয়ে এখন পূর্ণ স্বাধীনতার দারপ্রান্তে ফিলিস্তিন। বিশ্ববাসীর ফরিয়াদে ফিলিস্তিনের জন্য আল্লাহ রাজি আছেন ইহাই প্রতীয়মান।
আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনের বীর যোদ্ধা ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি।
মন্তব্য