রামকৃষ্ণ তালুকদার হবিগঞ্জ প্রতিনিধি>>>
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ও দুদিনের ভারী বর্ষণের ফলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সোমবার সারাদিনে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে ১১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়।এছাড়া বর্ষণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর আউশ ফসল।
উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে গাজীপুর, মিরাশি, রানীগাও, সাটিয়াজুরী, শানখলা ইউনিয়নের প্রায় ৫০ টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় গ্রামগুলোর মানুষ মারাত্মক কষ্ট ভোগ করছে।
সোমবার দুপুরে খোয়াই নদীর চুনারুঘাট ব্রীজ পয়েন্টে ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রভাহিত হচ্ছিল। এছাড়া করাঙ্গী ও সুতাং নদীর পানিও হু হু করে বাড়ছে। এসব নদীর বাধ উপচে নদী এলাকার কয়েক শত একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাউবো হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণ হওয়ার কারণে খোয়াই নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির পারিমাণ আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সোমবার দুপুরে সরজমিন উপজেলা সাটিয়াজুরী ও রানীগাও ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। ফসলি জমিসহ পুকুর তলিয়ে গেছে।
সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন করাঙ্গী নদীর দুপাড় বন্যার পানিতে তলিযে যাওয়ায কুনাউড়া, কৃষ্ণপুর,চিলামি,দৌলতপুর,দারাগাওসহ ৭/৮ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পরেছে। ছাত্রছাত্রীদের স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়েছে।
শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান,তার ইউনিয়নে পাহাড়ী ঢলে ও সুতং নদীর পানি উপছে ৭/৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দাদুর রহমান জানান,করাঙ্গী নদীর দুপাড়ে ১০/১২ টি গ্রাম সম্পুর্ন প্লাবিত।ছাত্র ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, তিনি বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। বন্যার সার্বক্ষনিক খবর রাখতে ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্তা অফিসকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য