নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চট্টগ্রাম সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার খবর সোমবার বিকেলের দিকে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রতিবাদে ৫০-৬০ জন ছাত্র-জনতা জড়ো হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
সময় স্থানীয় কিছু বাসিন্দাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া উপজেলা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন পারভেজের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তাদের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা ধীরে ধীরে মহাসড়ক থেকে সরে যান।
অবরোধকারীরা জানান, ওসি জাহেদুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকায় অপরাধ দমন ও মাদক বিরোধী অভিযানে দৃঢ় ভূমিকা রেখে চলেছিলেন।
সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক আছে। এমন সময় ওসিকে প্রত্যাহার করা মানে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়া।
অবরোধে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ হোসেন ও আয়ুব আলী নামের দুজন জানান, একজন ভালো ওসিকে হঠাৎ করে প্রত্যাহার করাটা উচিত হয়নি। ওসি জাহেদুল সাতকানিয়ার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রেখেছেন।
তাই এই ওসিকে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ও সাতকানিয়া থানার ওসি হিসেবে তাকে পুনর্বহাল রাখার দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।
কেরানীহাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতা মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ অবরোধ করে রাখেন। এতে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতায় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে বদলি স্বাভাবিক বিষয়।
সরকার যখন যেখানে পাঠাবে, নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করব। জনগণের চাওয়া পাওয়া সেটাতো আলাদা বিষয়। আমরা সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করব।’
মন্তব্য