সাইফুল ইসলাম বাবু বিশেষ প্রতিনিধি, সিলেট।
জৈন্তাপুরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ঔষধ সহ দুই জনকে আটক করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। আটককৃত আসামিরা হলেন,কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিদপুর উপজেলার চন্দগ্রামের মৃত জমরোদ মিয়ার ছেলে মো ফজলুল করিম ওরফ মিন্টু (৪২) এবং অপর আসামি জৈন্তাপুর উপজেলার আসামপাড়া আদর্শগ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৩)।আটককৃত ভারতীয় ঔষধ গুলোর মধ্য যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট,হজম বর্ধক ও নিষিদ্ধ হরমনাল ট্যাবলেট ও ইনজেকশন রয়েছে। আটককৃত ঔষধের বাজারমূল্য আট লক্ষ টাকার অধিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ই সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ৮ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএমের নেতৃত্বে জৈন্তাপুর সদরের প্রবেশদ্বার সিলেট তামাবিল মহাসড়ক চাঙ্গিল নামক স্হানে আসামিদ্বয়কে সাদা বস্তা সহ আটক করা হয়।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয়। তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা সাদা বস্তায় ছয় কার্টনের প্যকেটে মোড়ানো অবস্থায় ভারতীয় ঔষধগুলো রাখা ছিলো।উদ্ধার করা ঔষধগুলোর মধ্যে যৌনউত্তেজক TADALAFIL TABLETS ৩০০ পাতা, হজমবৃদ্ধি সিরাপ Human albumin 100%, এবং Normal immunoglobulin IP5% সহ BCG for Immuno Theraphy IP 40mg আরো বিভিন্ন প্রকারের ইনজেকশন ও ঔষধ প্যাকেজিং সামগ্রী ছিলো। ঔষধ গুলোর বাংলাদেশী টাকায় বাজার মূল্য প্রায় আট লক্ষ দশ হাজার টাকা।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম ভারতীয় বিপুল পরিমাণ ঔষধ সহ দুই জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌন উত্তেজক ও হরমন ঔষধ যাহা জনস্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর। তামাবিল নলজুরী এলাকায় ভারতীয় সিমান্ত পাড়ী দিয়ে আনা ঔষধগুলো সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্হানে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তা তদন্তাধীন। পুলিশ হেফাজতে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশ মোতাবেক উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও চোরাচালান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য