আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক>>> বাঙালি জাতির জন্য জাতীয় শোক দিবস মহা বেদনাদায়ক ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস; বাংলার ইতিহাসের জঘন্যতম কলঙ্কিত অধ্যায়। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে; নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে সপরিবারে শাহাদত বরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। আমি বিম্র চিত্তে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় সবসময় কাজ করত বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি বলতেন, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশী ভালবাসি”। জাতির পিতা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪’ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬’ এর ৬-দফা, ৬৯’
এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে। তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য এ দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাঁকে পরিবারের সদস্যসহ হত্যা করে বাঙালি জাতির ললাটে একে দেয় কলঙ্ক তিলক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্য বাংলাদেশের জাতির পিতাকেই শুধু হত্যা করেনি, তার সঙ্গে হত্যা করতে চেয়েছে বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতা, মুছে ফেলতে প্রয়াস চালিয়েছিল বাঙালির বীরত্বগাথার ইতিহাসও। যে বিশাল হৃদয়ের মানুষকে কারাগারে বন্দি রেখেও স্পর্শ করার সাহস দেখাতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, অথচ স্বাধীন বাংলার মাটিতেই তাকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয়েছে। বস্তুত ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।আমার সাতকানিয়া লোহাগাড়া সহজ সারা বিশ্বে বাংলাভাষী মানুষের কাছে অনুরোধ করব,মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যারা শহীদ হয়েছেন সকলের জন্য দোয়া করবেন,এবং বঙ্গ পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবেন,যেন মহান বিধাতা মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করেন,আপনারা জানেন বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহীসোপানে। স্বাধীনতার পর যেই বিশ্ব বলেছিল বাংলাদেশ হবে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, আজ সেই বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ- এই হোক জাতীয় শোক দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।
জয় বাংলা।
মন্তব্য