সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুবুর রহমানকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রমজান আলীকে খুলনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ শামসুল হক স্বাক্ষরিত বদলির আদেশ খুলনা জেলা পরিষদে পৌঁছালেও দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশ কোন অদৃশ্য শক্তির বলে অমান্য করে তিনি খুলনাতে বহাল তবিয়াতে টিকে আছেন এটা এখন সবাই প্রশ্ন হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে। গোপন সূত্রে জানাযায় তিনি এখনো খুলনাতে টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে গোপনে অনুসন্ধান কালে জানা যায়। এই প্রশাসনিক কর্মকর্তাপূর্বের কর্মস্থল সাতক্ষীরা থাকাকালীন সময়ে অসম্মতি জানানো এক চিঠি সম্মতি লিখে প্রকল্প তৈরি করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে, যে কারণে সাতক্ষীরার
শত শত লোক ঝাড়ু মিছিল করে এর এই দুর্নীতি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তখন তাকে বগুড়ায় ট্রান্সফার করে কিন্তু বগুড়ায় যোগদান না করে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করে। তার ট্রান্সফার আদেশ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বহাল রাখে তবুও সে সেখানে জয়েন না করে খুলনার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে ম্যানেজ করে খুলনাতে জয়েন করে। খুলনাতে থাকাকালীন সময় বিভিন্ন রকমের দুর্নীতির সাথে সে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কৌশলে আত্মসাৎ চুকনগরের জেলা পরিষদের মার্কেট তৈরী , খুলনার ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, সহ বিভিন্ন বদলি বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ে । তা সাড়া জেলা পরিষদের কন্টাকটারদের কাছ থেকে অলৌকিক শক্তি মাধ্যমে টাকা নিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়া সহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িয়ে রয়েছে এ কর্মকর্তা। যে কারণে জেলা পরিষদের কিছু মেম্বার ও চেয়ারম্যান বদলি ঠেকানোর জন্য দৌড়ঝাপ করছে বিভিন্ন দপ্তরে এমন তথ্য গোপন সূত্রে পাওয়া গেছে । বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতির অভিযোগ পেলেও তারা তার
বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন অভিযোগ আছে । বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে রেখেছে তার অলৌকিক শক্তির বলে। পরবর্তীতে গত ১১ অক্টোবর ওই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত আরো একটি ট্রান্সফার আদেশ খুলনা জেলা পরিষদে আসে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তার দুর্নীতি প্রকাশ পাইলেও কোন অদৃশ্য ইশারায় এখনো টিকে আছে খুলনায় এটাই জনমণের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মন্তব্য