আনোয়ার হোসেন-কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
দেশের অন্যাঞ্চলকে তাক লাগিয়ে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সমতল জনপদের কৃষকেরা বাজারে আগাম নতুন আলুর সু-খবর এনেছেন।বেশি দামে নতুন আলুর বাজার ধরতে তারা আগে ভাগে আলু তোলা শুরু করেছেন।ফলন একটু কম হলেও চড়া বাজার মূল্য পেয়ে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।খরচ বাদে দিগুন লাভবান হওয়ায় তাদের মাঝে বইছে আনন্দের ঢেউ।অন্যদিকে চলমান হরতাল,অবরোধে দেশের বিভিন্ন মোকামে আলু সরবরাহ নিয়ে কৃষক,ব্যবসায়ীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।তারা জানায়,এবার তিগুন দামে কিনতে হয়েছে আলুর বীজ,সেই সাথে বেড়েছে সব কৃষি উপকরণের বাজার মূল্য।সব কিছু মিলে আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে দ্বাড়িয়েছে দিগুন।এ অবস্থায় সঠিক ভাবে আলু বাজার জাত করতে না পারলে মাঠের আলু মাঠেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।এতে পথে বসা ছাড়া তাদের সামনে কোন পথ থাকবেনা।হরতাল,অবরোধ যেন ভাবিয়ে তুলেছে হাজারো আলু চাষিদের।জানা যায়,প্রতি বছর উপজেলার কৃষকেরা উঁচু ডাঙ্গা বিস্তীর্ণ মাঠগুলোতে আগাম আমন ধানের পর আগাম বাজার ধরার আশায় ৫৫থেকে ৬০দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আলুর বীজ বুনেন।বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই নগদ মুল্যে ক্ষেতের আলু ক্ষেতে ৭৮থেকে ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। চলতি বছর ৪ হাজার ৬০০হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।সরেজমিনে শুক্রবার (১৭নভেম্বর)সকালে দেখা যায়,বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আলম হোসেন ১বিঘা,এনদাদুল ১বিঘাসহ রনচন্ডির কুটিপাড়া গ্রামের শমসের আলী ২বিঘা,আব্দুল হাই ১বিঘা,মজনু মিয়া ২বিঘা জমির আগাম আলু উত্তোলন করছেন।কৃষক শমসের বলেন,বরাবরের মত চলতি বছর আশ্বিনের প্রথম সপ্তাহে বুননকৃত ২বিঘা জমির ৬১দিন বয়সি সেভেন জাতের আলু উত্তোলন করছি।২বিঘা জমিতে ৩০বস্তা আলু হবে।আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্ষেতে ৭৮টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম।ওই পরিমান জমিতে খরচ হয়েছে ৭০হাজার টাকা।যা বিক্রি করে ৫০টাকা লাভের আশা করা হচ্ছে।অপর কৃষক আব্দুল হাই বলেন,প্রতিবার আগাম আলু চাষ করে ভাল লাভবান হই।এ বছরো দিগুন লাভের আশায় আগাম আমন ধান কাটা মাড়াই করে ৪বিঘা জমিতে আগেভাগে আলুর বীজ রোপণ করেছি।এর মধ্যে ১বিঘা জমির আলু উত্তোলন করা হচ্ছে।৬০কেজির উপরে বস্তা যা ৮থেকে ১০ বস্তা আলুর আশা করা হচ্ছে।জমিতে ৭৭ টাকা কেজি দরে আলু ব্যবসায়ী নিকট বিক্রি করা হয়।খরচ বাদে লাভ আশা করা হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,দেশের বাজারে এই প্রথম কিশোরগঞ্জের নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে।আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।দেশের বাজারে আলুর ঘাটতিও পুরণ হবে।
মন্তব্য