এস এম জহিরুল ইসলামঃ>>>
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ঢালী বাড়ী লঞ্চ ঘাটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল লঞ্চঘাট। এই ঘাট দিয়ে উপজেলার প্রায় সব কটি ইউনিয়নের যাত্রীরা ঢাকা, চাঁদপুর, শরীয়তপুরসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়ত করে এবং ব্যবসায়ীরা মালামাল আনা নেওয়া করে। এই রুটের লঞ্চগুলো ছৈলা, জয়ন্তী, আড়িয়াল খাঁ, পদ্মা ও মেঘনা হয়ে ঢাকা থেকে মীরগঞ্জ পর্যন্ত যাতায়ত করে। এ ছাড়াও মুলাদী থেকে টরকী বন্দর পর্যন্ত ছোট ছোট লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল করে। এ গুলো এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে মালামাল ও স্থানীয় পর্যায়ের যাত্রী আনা নেওয়া করে।
যে রাস্তা দিয়ে চরকালেখান ঢালীবাড়ী লঞ্চঘাটে যেতে হয় সেই রাস্তাটি এক সময় মুলাদী থেকে চরকালেখান নোমরহাট হয়ে ছবিপুর পর্যন্ত ছিল। কিন্ত অব্যাহত নদী ভাংগনের কারনে বার বার রাস্তারটি তার গতি পরিবর্তন করে। ফলে স্থানীয় পর্যায়ের পরিবহন চলাচলেও নানা রকম সমস্যা হয়।
বর্তমানে যে রাস্তাটুকুর দুরাবস্থার জন্য যাত্রী দুর্ভোগ চরমে তার পরিমান হবে এক কিলোমিটারের চার ভাগের এক ভাগ। কিন্তু একটি জনবহুল লঞ্চঘাট হওয়ায় এটির গুরুত্ব অনেক। রাস্তাটি দুলাল ঢালী বাড়ী থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত। এই রাস্তা দিয়ে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল ছাড়াও ব্যবসায়ীরা পান, মৌসুমী ফসল, সুপারী ইত্যাদি আনা নেওয়া করে। এই রাস্তা দিয়ে রোগীও আনা নেওয়া করতে হয়।
কিন্ত ধারাবাহিকভাবে এলাকার অন্যান্য রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও এই রাস্তাটি মেরামত নিয়ে যেন কারো দায়িত্ব নেই। স্থানীয় জনগন ও যাত্রীদের দাবী দুর্ভোগ লাঘোবে এই রাস্তাটি অতি তাড়াতাড়ি মেরামত করা হউক।
এ বিষয়ে চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিরাজুল ইসলাম( মিরাজ সরদার) বলেন, চরকালেখান ঢালীবাড়ী লঞ্চঘাটের রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়টি মাথায় আছে। তিনি আরও বলেন, রাস্তাটির বিষয় বারবার মুলাদী উপজেলাএলজিইডির প্রকৌশলী কে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। ভাংগন কবলিত নদীর পার ঘেষে রাস্তাটি হওয়ায় বরাদ্দ দেওয়া কস্ট সাধ্য বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী মুলাদী উপজেলা পরিষদ ও বরিশাল- ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্যের আশু সুদৃস্টি কামনা করছে।
মন্তব্য