রাবি প্রতিনিধি:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাচ্যকলা, চিত্রকলা, ও ছাপচিত্র বিভাগের এমএফএ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শেষ করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের হাতে রজনীগন্ধা ফুল ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন’র সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথমদিকে স্মৃতিচারণ করেন ছাপচিত্র ডিসিপ্লিনের বিদায়ী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, মোশারফ রহমান, তামজীম রহমান নিরব, চিত্রকলা ডিসিপ্লিনের মাসুদ রানা রাসেল এবং প্রাচ্যকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মুনমুন নাহার। স্মৃতিচারণকালে তারা বিভাগে দীর্ঘদিনের শিক্ষাজীবন নিয়ে আলোচনা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন।শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ শেষে বিভাগের শিক্ষকেরা নানা ধরণের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। শিক্ষকেরা তাদের বক্তব্যে বলেন, এটি আসলে বিদায় না। মূলত এর মাধ্যমে তোমাদের (শিক্ষার্থীদের) জীবনের আরেকটি নতুন ধাপের সূচনা হল। তোমাদের সামনের সময়গুলো আরও কঠিন। এই কঠিন সময়গুলো ধৈর্য্যের সঙ্গে পেরোতে পারলেই তোমরা সফল হবে। এখান থেকে বেরিয়ে তোমরা অনেক বড় বড় জায়গায় যাবা বলে আমরা প্রত্যাশা করি। তবে সেসকল জায়গায় গিয়ে তোমাদের অধীনস্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবা না। কারণ তোমরা সকল খেটে খাওয়া মানুষের টাকা দিয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছ। তাই সবক্ষেত্রে তোমরা তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিবে।অনুষ্ঠানে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এতদিন যাবত তোমাদের যে শিক্ষা দিয়ে এসেছি, এখন তোমাদের সময় এসেছে সেগুলো প্রয়োগ করার। আমরা প্রত্যাশা করি তোমরা সেগুলো খুব সুন্দরভাবে প্রয়োগ করতে পারবা। তোমরা আমাদের সন্তানের মতো, আমরা সবসময় চাইব তোমরা আমাদেরকে ছাড়িয়ে যাও, বড় কিছু হও এবং দেশের জন্য ভালোকিছু কর। এসময় তিনি সকল শিক্ষার্থীদের সামনের দিনগুলোর জন্য সফলতা কামনা করেন।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার, অধ্যাপক ঋতেন্দ্র কুমার শর্ম্মা, অধ্যাপক ড. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. গুলনাহার বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর, ড. নাজনীন আকতার ও সহকারী অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান প্রমুখ। এসময় সকল বিদায়ী শিক্ষার্থীসহ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা শেষে বিভাগের অধ্যাপক ড. গুলনাহার বেগমের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য