মুবিন বিন সোলাইমান, (রাঙ্গুনিয়া) চট্টগ্রাম:>>>
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বিলুপ্ত প্রজাতির পাহাড়ি খরগোশ উদ্ধার করেছে প্রশাসন।রোববার (১৮ই) জুন ২০২৩ ইং তারিখ দুপুরে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই রিয়াজ সরফভাটা ক্ষেত্রবাজারে এই অভিযান পরিচালনা করে। পরে উদ্ধারকৃত খরগোশটি উপজেলার সহকারী ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলমকে হস্তান্তর করে।প্রত্যক্ষদর্শী এবং খরগোশ উদ্ধারের যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক ও পরিবেশবিদ এনায়েতুর রহিম। তিনি বলেন, সকালে বাজার করতে গিয়ে পাহাড়ি খরগোশটি আফতাব ষ্টোরে দেখতে পাই। এটি সরফভাটা আশ্রয়ন প্রকল্পে বাসিন্দা সাত ও আট বছরে দুইজন শিশু পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের গর্তে দুইটি খরগোশ দেখতে পেয়ে একটি ধরে ফেলে অপরটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ঐ দুই শিশু সরফভাটা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোঃ মামুন নামে এক ছাত্রের কাছে বিক্রি করে, মামুন ক্ষেত্রবাজারে এসে আফতাব ষ্টোরে খরগোশটি বিক্রি করে। তৎক্ষণিক আমি দেখতে পেয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবায়দুল ইসলামকে ফোনে জানালে তিনি পুলিশ পাঠাই।এদিকে উপজেলার সহকারী ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ছুটে যায় ক্ষেত্রবাজারে জানতে পারি একজন স্কুল ছাত্র বাজারের একটি মোদির দোকানিকে ১ কেজি ৪শ গ্রাম ওজনের বিলুপ্ত প্রজাতির খরগোশটি ১৫০ টাকা বিনিময়ে বিক্রি করেছে, পরে এটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করি।বিলুপ্ত প্রজাতির খরগোশটি সম্পর্কে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার নাহিদ হাছান বলেন, এটি নিউজিল্যান্ডের হোয়াট রেবিট। ১৯২০ সালের দিকে সাদা প্রজাতির খরগোশটি ইউরোপে প্রথম এসেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের সাদা খরগোশকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান খরগোশ বলে মনে করা হয়, জাতটি ৪ সপ্তাহ বয়সী শিশুর ২ কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে। সাধারণত খরগোশটি চার রং সাদা, লাল, কালো, নীল হয়ে থাকে। তাদের গড় ৪.৫ থেকে ৫.৬ কেজি হয়ে থাকে। এশিয়ায় বিলুপ্তপ্রায় এই জাতের খরগোশ সচরাচর খুব কম দেখা যায়, সম্ভবত এটি ভারত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
মন্তব্য