মুমিনুল হক নিজস্ব প্রতিবেদক >>> চকরিয়া’তে যৌতুক, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন, বিশেষ করে পরকীয়ার মতো বিষয়গুলো আজ সমাজে ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন শত শত মহিলা এই অত্যাচারের শিকার হয়ে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ দাখিল করছেন। সমাজের এমন ভাঙন দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে, যা একটি সামাজিক সংকটের রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা যেতে পারে:
১. জনসচেতনতা বৃদ্ধি >>
যৌতুক, নির্যাতন এবং পরকীয়ার মতো সমাজবিধ্বংসী কাজগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। স্কুল, কলেজ এবং মসজিদসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।
২.নারীদের ক্ষমতায়ন >>
নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। যদি তারা শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী হন, তাহলে তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সক্ষম হবেন।
৩.কঠোর আইন প্রয়োগ >>
যৌতুক ও পারিবারিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বর্তমান আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তি এবং বিচার নিশ্চিত করা গেলে এরকম অপরাধ প্রবণতা কমবে।
৪.পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ >>পরিবার হলো সমাজের মূল ভিত্তি। তাই পরিবারে নারী ও পুরুষের প্রতি সমান মূল্যবোধ ও সম্মানের চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রজন্মকে পারিবারিক মূল্যবোধ শেখানো এবং শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া উচিত।
৫.মানসিক পরামর্শ ও সহায়তা কেন্দ্র >>
অনেক সময় মানসিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণে এই ধরনের অপরাধ ঘটে। তাই এসব সমস্যার সমাধানের জন্য মানসিক পরামর্শ কেন্দ্র এবং সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অপরিহার্য।
এসব উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে চকরিয়াতে যৌতুক, নির্যাতন ও পরকীয়ার মতো সমস্যাগুলোর প্রতিকার সম্ভব হবে, এবং সমাজের সামাজিক পরিবেশ আবারও সুস্থ ও সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য