২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
এশিয়ান লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মৃধা ফারুকুল ইসলাম রাজবাড়ী জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামার বাড়ী যাওয়া হলো না সাফওয়ানের স্ট্রাক চাপায় মৃত্যু পেকুয়ায় ডাম্পার-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১আহত ১ তানোরে হত্যা মামলায় তালিকাভুক্ত আসামী আটক ড. ইউনূস অপারগ হলে বিকল্প খুঁজে নেবে জনগণ: সালাউদ্দিন আহমেদ ভারতীয় কোম্পানির ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের চুক্তি বাতিল করলো সরকার তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানালেন ডা. জুবাইদার ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে দেশে ফিরবেন পিনাকী-ইলিয়াস ও কনক! প্রধান উপদেষ্টার পাশে একটা টক্সিক সার্কেল রয়েছে’
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> কুড়িগ্রাম >> দেশজুড়ে >> রংপুর >> শিক্ষা >> শীর্ষ সংবাদ
  • মাদরাসায় বাবার দানের জমি, ৩৩ বছর পর ছেলের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ
  • মাদরাসায় বাবার দানের জমি, ৩৩ বছর পর ছেলের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মিজানুর রহমান কুড়িগ্রাম

    কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদরাসার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদরাসায়। জমির মালিক আমীন উদ্দিন ওই মাদরসার নামে ৫ শতক জমি দান করলেও ৩৩ বছর পর তার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) সেই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণ পাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদরাসাটি মসজিদের জায়গায় প্রতিষ্ঠত হয়। পরবর্তীতে আমীন উদ্দিন ১৯৯১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই মাদরাসার নামে পশ্চিম কালুডাঙ্গা মৌজার জেএলনং- ৯৮, খতিয়ান নং ৪৩৬, দাগ নং ১৫৪২ দুই প্লটের ৫ শতাংশ জমি দান করেন। দলিল নং ১১১০৪। এরপর মসজিদ থেকে পৃথক হয়ে ওই জমির উপর মাদরাসার অবকাঠামো নির্মিত হয়ে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদরাসার জমিদাতা আমীন উদ্দিনের মৃত্যুর ৩০ বছর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদরাসায় তার বাবার দান করা জমি দখল করার জন্য মাদরাসার সীমানায় ঘর নির্মাণ করতে আসেন। এমতাবস্থায় মাদরাসার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন দিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বস্ত করেন।স্থানীয় গৃহবধূ বিজলী বেগম জানান, আমার বিয়ে হয়ে এসে দেখেছি এখানে মাদরাসা রয়েছে। এলাকার ছেলে-মেয়েরা এখানে আরবি পড়ে আসছে। এখন নতুন করে শুনছি জমি ফেরত নিয়ে মাদরাসা বাতিল করে নাকি বাড়ী নির্মাণ করবে।আরেক স্থানীয় বেলাল উদ্দিন (৭২) জানান, এতদিন থেকে মাদরাসা চলছে ঝগড়া-বিবাদ কিছুই নাই। হঠাৎ কি হলো পুলিশ আসার পর থেকে ভয়ে ছেলে-মেয়েরা মাদরাসায় পড়তে আসতে চায় না। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি খুব কম।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা এবতেদায়ী মাদরাসার জন্য জমি দান করেছেন (দলিলে উল্লেখ আছে) এখানে কোন এবতেদায়ী মাদরাসা নেই। তাই দীর্ঘদিন মাদরাসা পরিচালিত না হওয়ায় আমি ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছিলাম। মাদরাসার কমিটির লোকেরা আমার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে।উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, মাদরাসা পরিচালা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাদরাসার ওই জায়গা নিয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page