কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক >>> কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জোরপূর্বক জমির ফসল উত্তোলন করে নষ্ট করাসহ অর্থশতক সুপারী গাছ কর্তন ও তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বয়খন্ডপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।অভিযোগে জানা যায়, ২০২২ সালে রমজান খাঁর কাছে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে স্ত্রী জোবেদা বেগমের নামে দেন ছলিমুদ্দিন। ক্রয়ের পর জমিতে সুপারি বাগান লাগিয়ে সবজি চাষাবাদ করছেন ক্রেতার পরিবার। সম্প্রতি এই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদে জড়ায় প্রতিবেশী মহির উদ্দিন। সে জমির মালিকানা দাবি করে বসেন। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকবার মিমাংসা হলেও কোন সুরাহা মেলেনি। পরে জমির দাগ ঠিক করা নিয়ে কোর্টে মামলাও করেন ভুক্তভোগী ছলিমুদ্দিন।ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, মামলা চলমান থাকাবস্থায় বিবাদী মহির উদ্দিন জোরপূর্বক তার পাঁচ ছেলে ও ভাতিজাদের নিয়ে জমির ফসল উত্তোলন করে নিয়ে যায় ও নষ্ট করে। আজ সকালে তারা দলবল নিয়ে বাগানের প্রায় পঞ্চাশটি সুপারী গাছ কর্তন করে ও কিছু গাছ তুলে বাড়িতে নিয়ে যায়।অভিযোগের বিষয়ে বিবাদী মহির উদ্দিন বলেন, রমজান খাঁ ওই দাগের জমিটি আমার কাজে বিক্রি করেছেন। আমি সুপারী গাছসহ জমি কিনেছি।তবে সুপারী গাছ গুলো বাদী ছলিমুদ্দিন লাগিয়েছে স্বীকার করে প্রতিবেদকের কাছে মহির উদ্দিন জানান, সুপারি গাছ তোলা ভুল হয়েছে তার। বিবাদী বলেন, ৭শতাংশ জমির দাগ নিয়ে অনেকদিন থেকে বিবাদ চলছে। আমি অনেকদিন থেকেই তাদেরকে জমি থেকে সুপারী গাছ গুলো তুলে নেওয়ার কথা বলছি কিন্তু তারা গাছগুলো তোলেনি। সেজন্য আমি আজ গাছগুলো তুলেছি তারা যদি চায় আমি গাছগুলো ফিরিয়ে দিতে রাজি আছি।ঘটনার বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ বলেন,ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য