জেলা প্রতিনিধি নড়াইল>>> গত ০৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রিঃ নড়াইল সদর থানাধীন বিছালী গ্রামে আমেনা বেগম (৫৭),স্বামী মোঃ মনির হোসেন মোল্যা নিজ বাড়ীতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। উক্ত ঘটনায় নড়াইল সদর থানার মামলা নং-০২,তারিখ ১২/০৮/২০২৪ খ্রিঃ, উক্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করার জন্য নড়াইল জেলা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।১৭ সেপ্টেম্বর মংগলবার সাড়ে ১২ টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) জনাব মোঃ সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই(নিঃ) মোঃ সেলিম মহালদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ আসিফ মোল্যা (১৯),পিতা-মোঃ বাবর আলী মোল্যা,সাং-বিছালী,থানা ও জেলা-নড়াইলকে অভিযান পরিচালনা করে তার নিজ এলাকা হতে গ্রেফতার করে।এছাড়া ভিকটিম আমেনা বেগম এর লুষ্ঠিত মোবাইল ফোনটি তার হেফাজত হতে জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে,ভিকটিম মৃত আমেনা বেগম সম্পর্কে আসামী আসিফ মোল্যার গ্রাম্য দাদী হয়।ভিকটিম আমেনার পরিবারের সাথে আসামীর পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে।বিজ্ঞ আদালতে উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে।তারপরেও ভিকটিম আসামীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো।গত ২৮ জুলাই ভিকটিম আমেনা বেগম আসামীদের বাড়িতে যায় এবং আসামীর মায়ের নামে তিনি আজেবাজে কথা বলেন এবং গালিগালাজ করেন।তখন আসামী আসিফ খুব কষ্ট পায়।গত ০২ আগষ্ট ভিকটিমের হাঁস চুরি হলে আসামীকে চোরের অপবাদ দেয়।উক্ত ঘটনায় আসামীর মা আসামীকে মারপিট শুরু করে।এতে আসামীর অনেক রাগ হয়।এসব কারণে আসামী মোঃ আসিফ মোল্লা(২১) গত ০৪ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় আসামী ভিকটিমের বাড়িতে যায়।তখন গেটে তালা দেওয়া ছিল।আসামী আসিফ ভিকটিম আমেনা বেগমকে দাদী বলে ডাক দিলে তিনি গেইটের তালা খুলে দেয়।তারপর আসামী ঘরের ভিতরে যায়।তখন ভিকটিম বলে যে, “তুই বসতিথাক আমি কয়ডা ভাত খেয়ে নিই।” ভিকটিম ভাত খাওয়ার পর বলেন যে,”আমি শুয়ে পড়ব, অনেক রাত হইছে।তুই আরেকটু বস, তখন আসামী আসিফ পিছন থেকে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরে।কিছুক্ষণ পরে তিনি আস্তে আস্তে নিশ্বাস নিচ্ছিল।তারপর আসামী ভিকটিমকে তার পরনের শাড়ি দিয়ে গলায় আবার পেঁচিয়ে ধরে এবং শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে। আসামী ভিকটিমের ব্যবহৃত আইটেল কোম্পানির মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়।আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য