৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
ওয়ান শুটার পাইপগানসহ ওয়েল্ডিং মিস্ত্রিকে আটক করেছেন কোস্ট গার্ড কলমাকান্দায় ভারতীয় মদসহ ৭ যুবক আটক পটুয়াখালীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মারধর থানায় মামলা। কিশােরগঞ্জে কিসামত বদি  উচ্চ বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চুরির ঘটনায় সভাপতি আটক গৃহকরখেলাপিদের তালিকা করতে বললেন মেয়র শাহাদাত দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা থাকলে গণতন্ত্র থাকতো লালমনিরহাটে ১ম রংপুর বিভাগীয় সোতোকান কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় ৮নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন লালমনিরহাটে বিদ্যুৎপৃষ্টে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু। হাটহাজারী মেখলে জবরদখলকারী ভূমি দস্যুদের বিরোদ্ধে সাইফুল গং-এর সংবাদ সম্মেলন
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> ঢাকা
  • ধ্বংসের মুখে ব্যাংক খাত, ঊত্তরণে স্বচ্ছ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য
  • ধ্বংসের মুখে ব্যাংক খাত, ঊত্তরণে স্বচ্ছ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    <img <img

    জেমস রানা বিশ্বাস উপজেলা প্রতিনিধি,সাভার ঢাকা>>> কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগের পরেও ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি দিনকে দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। কয়েকদিন আগে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন প্রতিবেদনে জানা যায়-ব্যাংক খাতে গত জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়েছে।প্রতিবেদনে জানা যায় আরও জানা যায়,এই কয়মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ, সুদহার,বিনিময় হারজনিত ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর সার্বিক মূলধন কমেছে।তবে ঋণের স্থিতি বাড়ায় ব্যাংকগুলোর সম্পদ বেড়েছে আর খেলাপি ঋণ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।এখন মোট খেলাপি ঋণের ৪৫ শতাংশের বেশি রয়েছে শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের কাছে।প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়,গত জুনে যেখানে চারটি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল,বর্তমানে পাঁচটিতে তা আরও বেড়েছে।এছাড়া গত জুনে সুদের হারজনিত কারণে একটি ব্যাংক ঝুঁকিতে থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দুটিতে দাঁড়িয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাস পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও এবারের প্রতিবেদনটি গত বছরের জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের, যা প্রায় ৭ মাস পর প্রকাশ করা হয়।বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যাংকগুলো পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনা অপরিহার্য।আগ্রাসী ব্যাংকিং বন্ধ করতে হবে।পরিচালকদের চাপ কমাতে হবে।গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।খেলাপিদের কোনোভাবেই আর ছাড় দেওয়া যাবে না।যেকোনো দেশের ব্যাংক হচ্ছে সে দেশের অর্থনীতির প্রাণ। ব্যাংক দুর্বল হলে অর্থনীতিও ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়বে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক এখন অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান দিতে পারছে না।এ সংকট কাটাতে আমানত বাড়াতে হবে।দুর্নীতি রোধ করতে হবে।ঋণ আদায় করতে হবে।বিদেশে যে অর্থ পাচার হয়েছে,তার সঠিক হিসাব বের করে ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে হবে।এরফলে দেশে ডলার সংকট কিছুটা হলেও কাটবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া যে খেলাপিদের ধরা অসম্ভব। দেশে যারা ঋণখেলাপি বা জাল-জালিয়াতি করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে,তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে সরকারের ছত্রচ্ছায়াতেই থাকে।এসব ঋণখেলাপিরা অত্যন্ত প্রভাবশালী।কাজেই সরকার থেকে বার্তা না পেলে ব্যাংকের পক্ষে তাদের কিছুই করতে পারবে না।এসব বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সরকার ব্যাংক খাতকে স্থিতিশীল অবস্থায় অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী উদ্যোগী নিবে এটাই সকলের কাম্য।

    মন্তব্য

    <img class=”alignnone size-full wp-image-29676″ src=”https://bdsangbadpratidin.com/wp-content/uploads/2024/05/IMG_20240503_224849-2.jpg” alt=”” width=”100%” height=”auto” />

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page